চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সময় ভালো যাচ্ছে না। সিংহভাগ পশ্চিমা দেশ এখন তাইওয়ানের বিষয়ে চীনের আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে চিন্তিত। তবে চীনের সামনে এখন আরও বড় বিপদ দেখা দিয়েছে।
চীনের এই বিপদ হলো নিজের অর্থনীতি নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আবাসন খাত একসময় জাতীয় অর্থনীতির চালিকা শক্তি হলেও এখন যেন রীতিমতো ধসে পড়ছে। পূর্বাভাস আছে, পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
চীনের আবাসন খাতের ধীরগতির প্রভাব অর্থনীতির অন্য খাতেও পড়ছে। এতে দেশটির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। অর্থনীতির মৌলিক কাঠামোগত সমস্যা উন্মোচিত হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে এখন আর কেবল প্রণোদনা দিয়ে সমস্যার সমাধান করা যাবে না।
অন্যান্য দেশের সঙ্গে চীনের পার্থক্য কোনোভাবেই আর চোখ এড়াচ্ছে না। গত বছর বিশ্বের অধিকাংশ দেশ যেখানে উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, চীন সেখানে উল্টো মূল্যহ্রাসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। জুন মাসে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার শূন্যে নেমে এসেছে। ফলে চীন মন্দা এড়াতে পারবে, এমন আশাও এখন তিরোহিত হচ্ছে।