বর্ষার ভরা মৌসুমেও কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা নেই। শ্যালো মেশিন চালিয়ে জমিতে সেচ দিয়ে আমন ধানের চারা লাগাচ্ছেন কৃষকরা। এতে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। সেইসঙ্গে আমন চাষাবাদ নিয়ে নানামুখী শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ চিত্র বগুড়াসহ উত্তরের বেশ কয়েকটি জেলায় এখন। স্বাভাবিক কারণেই বোরোতে লোকসানের পর এবার আমনেও লোকসানে পড়তে যাচ্ছে কৃষক।
এমন পরিস্থিতিতে এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদনে ব্যয় কেমন হতে পারে জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলার সাধুবাড়ী গ্রামের কৃষক গোলাম রব্বানী ও মাহবুবুর রহমান জানান, জমি প্রস্তুতির জন্য হালচাষ বাবদ স্বাভাবিক সময় ব্যয় হয় ২০০০ টাকা। এখন বৈরী আবহাওয়ার কারণে জমি প্রস্তুত করতে হালচাষ বাবদ অতিরিক্ত ৫০০ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। আমন চাষে কোনো সেচ খরচ করতে হয় না। কিন্তু এখন বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। এবার বোরো মৌসুমের মতোই সেচ দিয়ে আমনের চারা রোপণ করতে হচ্ছে। এতে সেচ বাবদ ২০০০ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার প্রতি বিঘা জমিতে আমন চাষে বাড়তি ২৫০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে।
বিঘাপ্রতি জমি রোপণের খরচের বর্ণনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, জমি চাষকালে টিএসপি ১০ কেজি ৩০০ টাকা, এমওপি (পটাশ) ১০ কেজি ৩০০ টাকা, ইউরিয়া ৫ কেজি ১৫০ টাকা, জিপসাম ১০ কেজি ১৫০ টাকা, দস্তা ১ কেজি ২০০ টাকা, সালফার ৩ কেজি ১২০ টাকা ও ম্যাগনেশিয়াম সার ২ কেজি ৮০ টাকা খরচ করে জমিতে ছিটাতে হচ্ছে। এরপর জমির আইল কাটা বাবদ শ্রমিক ব্যয় ২০০ টাকা, ধানের চারা রোপণ বাবদ ১২০০, আগাছা প্রতিরোধে কিটনাশক ও ইউরিয়া ৫ কেজি বাবদ ১৫০, জমি নিড়ানী বাবদ শ্রমিকের ৫০০ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় যোগ হবে।