গত মে মাস থেকে ভয়াল রূপ নিচ্ছে ভারতের মণিপুরের সহিংসতা। রাজধানী ইম্ফল ছাড়ছে আতঙ্কিত মানুষ। পালানোর সময় এটিএম বুথ থেকে এক ১৯ বছর বয়সী আদিবাসী নারীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতিত ওই নারীর মুখে ধর্ষণের রোমহর্ষক ও ভয়ংকর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
তিনি বলেন, তাঁকে পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিন পুরুষ পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বন্দুকের বাঁট দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়। তাঁকে কোনো পানি বা খাবার দেওয়া হয়নি।
‘চারজন পুরুষ আমাকে সাদা বোলেরো গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। নিয়ে যাওয়ার সময় চালক ছাড়া বাকি তিনজন আমাকে নির্যাতন করে। এরপর তারা আমাকে পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে।’
ধর্ষণের শিকার ওই নারী আরও বলেন, ‘ঘৃণ্য যা যা করা যায়, তারা আমার সাথে করেছে এবং সারা রাত আমাকে পানিও খেতে দেয়নি। সকালে ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য চোখ খুলে দিতে বলি। তাদের মধ্যে একজন সদয় হয়ে চোখের বাঁধন খুলে দেয়। এরপর আমি চারপাশে দেখি এবং পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করি। তার পরই আমি পালানোর সিদ্ধান্ত নিই।’
এক অটোরিকশাচালক তাঁকে সহায়তা করেন। গাড়ির ভেতরে সবজির স্তূপে লুকিয়ে রেখে ওই নারীকে নিরাপদে কাংপোকপিতে পৌঁছে দেন তিনি।