দৃষ্টিশক্তি হারানোর অন্যতম কারণ গ্লুকোমা। যে কোনো বয়সেই এই রোগ হানা দিতে পারে চোখে। চিকিৎসকরা এই রোগকে ‘সাইলেন্ট থিফ’-ও বলে থাকেন।
চোখের মধ্যে যে অংশ দিয়ে তরল চলাচল করে, সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে তা জমে চোখের ওপর বাড়তি চাপ ফেলে। বিশেষ করে অপটিক স্নায়ুতে। সেই চাপ বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করে। পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা থেকেই বাড়ে অন্ধত্বের ঝুঁকি। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিটা শুরু হয় চোখের পরিধির চারপাশ থেকে, তাই গ্লুকোমায় আক্রান্ত রোগীদের ‘সাইড ভিশন’ নষ্ট হতে থাকে। চোখের ভেতর জল তৈরি হতে থাকে, অথচ বেরোনোর জায়গা পায় না— এর ফলেই তা দুর্বল জায়গাগুলোতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। আর সেই থেকে সমস্যা বাড়ে।
গ্লুকোমার মতো অসুখ সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়। এই সমস্যা ধরা পড়ার পরে চিকিৎসা শুরু হলেও ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা থেকেই যায়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে এই রোগের ভালো চিকিৎসা সম্ভব।