বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) আর বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। দল দুটি রাজনীতির মাঠে অচিন, তবু তাদেরই ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল। জুটছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন। ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে যাচাই-বাছাই শেষে ১২ রাজনৈতিক দলের ছোট তালিকা করা হয়েছিল। শেষমেশ নিবন্ধন দেওয়ার ব্যাপারে ‘অখ্যাত’ দল দুটিকে বেছে নিল ইসি। যারা রাজনীতির মাঠে সক্রিয় থেকে আলোচিত হয়েছে, তারা নিবন্ধন না পেয়ে নিরাশ, নাখোশ। নিবন্ধনের দৌড় থেকে ছিটকে পড়াদের তালিকায় সরকারবিরোধী হিসেবে পরিচিত মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য, ভিপি নুরের গণঅধিকার পরিষদ এবং জামায়াতে ইসলামী থেকে বেরিয়ে আসা নেতাদের নিয়ে গঠিত এবি (আমার বাংলাদেশ) পার্টিও রয়েছে।
মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইসির বিবেচনায় ‘নিবন্ধন পরীক্ষায়’ উত্তীর্ণ বিএনএমের নেতৃত্বে রয়েছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান খোকন, যিনি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনে বরগুনা-১ আসন থেকে এমপি হয়েছিলেন। দলটির সদস্য সচিব হিসেবে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা উইংয়ের সাবেক প্রধান মেজর (অব.) মো. হানিফ। অন্যদিকে বিএসপির নেতৃত্বে রয়েছেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দরবার শরিফের অনুসারীরা। মিরপুরে তাদের খানকা শরিফেই গড়ে উঠেছে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়।