বলা হয়, ডেঙ্গুর বাহক এইডিস মশা কেবল দিনের শুরুতে এবং সন্ধ্যার আগে, অর্থাৎ আলো-আঁধারিতে দংশন করে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
বাংলাদেশের একদল গবেষক দেখেছেন, এইডিস এজিপ্টি মশা কেবল দিনে নয়, রাতেও সক্রিয় থাকে।
শুধু তাই নয়, ঘরের মধ্যে ও আশপাশে জমে থাকা পরিষ্কার পানিকে এইডিস মশার প্রজননস্থল হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এই গবেষকরা দেখেছেন, নোংরা পানিতেও এই মশা ভালোভাবে বংশবিস্তার করতে পারে।
তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশারের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে কীটতাত্ত্বিকদের মধ্যেও।
একজন কীটতত্ত্ববিদ মনে করছেন, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞদের দ্বারা মূল্যায়িত (পিয়ার রিভিউ) হওয়ার আগে এ ধরনের গবেষণাকে আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসির ডেঙ্গু সংক্রান্ত নানা তথ্যে বলা হয়, এইডিস এজিপ্টি মশা সকালে এবং বিকালে সূর্যাস্তের আগের সময়টায় বেশি দংশন করে।
এই মশা সাধারণত থাকেশহরাঞ্চলে মানুষের বসবাসের আশপাশে, ঘরের ভেতরের অন্ধকার জায়গা-আলমারি, খাটের নিচে, দরজা বা জানালার পর্দার পেছনে বেশি থাকে।
আর ডিম পাড়ে ঘরের আশপাশে ফুলের টব, টায়ারসহ ছোট ছোট স্থানে জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে; সেই ডিম থেকে পূর্ণাঙ্গ মশায় রূপ নেয় সাত থকে ১০ দিনে।