লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে আগামীকাল ১১ জুলাই বসবে ন্যাটোর শীর্ষ বৈঠক। সবাই উদ্গ্রীব হয়ে সেই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে। রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেনকে কবে ন্যাটোভুক্ত করা হবে, সে প্রশ্নটি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর জন্য ইউক্রেন কতটা প্রয়োজনীয়, সে বিষয়েও একটা আভাস মিলবে শীর্ষ সম্মেলনে। নানা বিষয়ে কথাবার্তা হবে এখানে, কিন্তু ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়েই থাকবে মূল আলোচনা আর সেই পথ ধরে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও কিছুটা আঁচ পাওয়া যাবে।
ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর যে কটিতে পারছেন, যাচ্ছেন, কথা বলছেন।ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করে নেওয়ার জন্য দেশগুলোর নেতাদের কাছে অনুরোধ রাখছেন। কোনো কোনো দেশ ইউক্রেনীয় নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার পর নিজেদের অবস্থান কিছুটা নরম করেছে বটে, কিন্তু গোড়ায়ই গলদ আছে কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে। ‘গোড়া’ বলতে আমরা মার্কিন দেশকেই বোঝাচ্ছি। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেই সম্ভবত ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত করার ব্যাপারে ‘ভেটো’ দেবেন। ১১ ও ১২ জুলাই ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর প্রধানেরা কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা জানার জন্য পৃথিবীর সর্বত্রই রাজনীতিসচেতন মানুষ উদ্গ্রীব হয়ে আছেন, এ কথা নতুন করে বলতে হয় না।