চট্টগ্রাম নগরীতে দেড় মাস ধরে জরিপ চালিয়ে সিটি করপোরেশন (চসিক) কর্তৃপক্ষ মশা প্রজননের ৪৩৫টি হটস্পট চিহ্নিত করেছে। দুই বছর আগে একই ধরনের বিশেষজ্ঞ জরিপে হটস্পট ছিল মাত্র ৫৭টি। এ সময়ে চসিক কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টো দুই বছর ব্যবধানে মশা তার প্রজননের স্থান প্রায় আট গুণ বৃদ্ধি করেছে। এরই প্রভাব পড়েছে নগরীতে। বিশেষ করে এডিসবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে।গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২৬ জনসহ চলতি বছরে মোট ৬৮৭ ব্যক্তি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন শিশুসহ ১২ জন। এর মধ্যে চলতি জুলাইয়ের প্রথম পাঁচ দিনেই ২২৩ জন আক্রান্ত ও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।ডেঙ্গু পরিস্থিতি ‘আশঙ্কাজনক’ উল্লেখ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে গতকাল বৃহস্পতিবার চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে চিঠি দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
একই চিঠি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালককেও (সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) পাঠিয়েছেন তিনি।সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামে জুন মাসে রেকর্ড ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। চলতি মাসের পাঁচ দিনেই ২২৩ জন আক্রান্ত ও তিনজন মারা গেছেন। সঠিকভাবে মশার বিস্তার রোধ করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।