বেশ কবছর কুরবানি দেওয়া গরু-ছাগলের চামড়ার উপযুক্ত দাম মিলছে না। এবারের পরিস্থিতি একটু ভিন্ন হলেও তেমন উন্নতি পরিলক্ষিত হয়নি। ঈদুল আজহায় পশু কুরবানি সম্পন্ন হওয়ার কদিনের মধ্যেই হাতবদল হয়ে এর চামড়া চলে আসে ট্যানারিতে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্যানারি থাকলেও এর সিংহভাগকে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে সাভারের হেমায়েতপুরে। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ট্যানারিশিল্প নগরী’। জামালপুরে এমন আরেকটি ট্যানারিপল্লি গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। সেটি না হওয়া পর্যন্ত পশুর চামড়া প্রক্রিয়াকরণে হেমায়েতপুরের ট্যানারিশিল্প নগরীর কার্যক্রমই বেশি আলোচিত হবে। ২০০৩ সালে এটি গড়ে তোলার কাজ শুরু হলেও তা এতদিনেও সম্পন্ন হয়নি। বিশেষত কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) এখনো পুরোপুরি কার্যকর করতে না পারাটা বেদনাদায়ক। কুরবানি ঈদের পর যখন ওই ট্যানারিপল্লির কারখানাগুলো একযোগে চালু হয়, তখন সিইটিপি আরও অকার্যকর হয়ে পড়ে। আগে হাজারীবাগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে ওঠা ট্যানারিগুলোর যথেচ্ছ কর্মকাণ্ডে দূষিত হতো বুড়িগঙ্গা; এখন হেমায়েতপুরে দূষিত হচ্ছে ধলেশ্বরী। নদীর আর রেহাই নেই! সেখানে ট্যানারির কঠিন বর্জ্যও নিক্ষিপ্ত হচ্ছে নির্ধারিত স্থানের বাইরে এবং তাতে মাটিসহ পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।