তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে বোলিং নিয়েছে আফগানিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৪২ ওভারে ১৬৭/৯
ফিফটি করে হৃদয়ের বিদায়
ফিফটির পর আর বেশিদূর যেতে পারলেন না তাওহিদ হৃদয়। রাউন্ড দা উইকেটে করা ফজলহক ফারুকির বল কাট করার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু যথেষ্ট জায়গা বানাতে পারেননি, বল পিচ করে ভেতরে ঢোকে খানিকটা। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় কিপারের কাছে।
হৃদয়ের লড়িয়ে ইনিংস শেষ হলো ৬৯ বলে ৫১ রান করে। বাংলাদেশের রান ৪০.৫ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৪।
তাসকিনের বিদায়
বৃষ্টি শেষে খেলা শুরুর পর বেশি কিছু করতে পারলেন না তাসকিন আহমেদ। মুজিব উর রহমানের দারুণ ডেলিভারিতে তিনি এলবিডব্লিউ ৭ রানে।
মুজিবের ক্যারম বল বুঝতেই পারেননি তাসকিন। টার্ন করবে ভেবে ব্যাট পেতে দেন তিনি। বল আরেকটু ভেতরে ঢুকে লাগে তার প্যাপে। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নেন তাসকিন। কিন্তু হারাতে হয় সেই রিভিউও।
বাংলাদেশের রান ৩৭.২ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৩।
কমে গেল ওভার
দ্বিতীয় দফা বৃষ্টি বিরতির পর খেলা শুরু হচ্ছে ৬টা ৫০ মিনিটে। ম্যাচ নেমে এসেছে ৪৩ ওভারে। বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হবে ৩৪.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে।
আবার বৃষ্টির হানা
আরেক দফা বৃষ্টিতে থমকে গেল খেলা। যদিও রোদও আছে বেশ!
রোদের মধ্যেই নামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। আম্পায়াররা তুলে নেন বেলস। ৩৪.৩ ওভারে বাংলাদেশের রান তখন ৭ উইকেটে ১৪৩।
৫৭ বলে ৪২ রানে খেলছেন হৃদয়, ১ রানে তাসকিন।
আগের দফায় বৃষ্টিতে ৫০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকলেও ওভার কাটা পড়েনি। এবার শঙ্কা আছে ওভার কমে যাওয়ার।
পারলেন না মিরাজও
আফিফ হোসেনের বিদায়ের পর গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয়ের আরেক নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও পারলেন না দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে।
আকাশ আবার ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যেতে দেখেই কি না, ফজলহর ফারুকিকে আক্রমণে ফেরান আফগান অধিনায়ক। ফেরার ওভারেই দলকে উইকেট এনে দেন এই পেসার।
রাউন্ড দা উইকেটে করা লেংথ বল অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে ভেতরে ঢোকে। মিরাজ চেষ্টা করেন পুল করতে। কিন্তু পারেননি ব্যাটে-বলে করতে। বল লাগে পায়ে। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আঙুল তোলেন আম্পায়ার।
মিরাজ রক্ষা পাননি রিভিউ নিয়ে। উল্টো হারাতে হয় রিভিউ।
২৩ বলে ৫ রান করে আউট হলেন মিরাজ। হৃদয়কে সঙ্গ দিতে পারছেন না কেউ। তিনি খেলছেন ৪১ রানে।
নতুন ব্যাটসম্যান তাসকিন আহমেদ।
রিভিউয়ে সফল রশিদ
দলে ফেরার ম্যাচে শুরু থেকেই বেশ ছটফট করছিলেন আফিফ হোসেন। শেষ পর্যন্ত বড় কিছু করতেও পারলেন না তিনি। রশিদ খানের বলে রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরাল আফগানিস্তান।
লেংথ বলটিতে শুরুতে একটু সামনে গিয়ে পরে পেছনের পায়ে ফ্লিক করার ঝুঁকিপূর্ণ পথ বেছে নেন আফিফ। কিন্তু বল পিচ করে টার্ন না করে সোজা গিয়ে আঘাত করে আফিফের স্টাম্পে। আম্পায়ার আড্রিয়ান হোল্ডস্টক আউট দেননি, তবে রিভিউ নিয়ে সফল হয় আফগানরা।
গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দলেল বিপর্যয়ের মধ্যে ৯৩ রানে অসাধারণ অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন আফিফ। এবার তিনি ৮ বলে ৪ রান করে আউট হলেন দলকে আরও বিপর্যয়ে ঠেলে।
বাংলাদেশের রান ২৭.২ ওভারে ৬ উইকেটে ১২৮।
নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৫ রানে খেলছেন হৃদয়।
রশিদের গুগলিতে মুশফিকের বিদায়
সাকিবের উইকেটের রেশ থাকতেই আরেকটি বড় ধাক্কা। এবার বিদায় নিলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও।
নবির শিকার সাকিব
বোলার ছিলেন আজমতউল্লাহ ওমারজাই, তবে মোহাম্মদ নবি যে ক্যাচটি নিলেন, তাতে উইকেটের কৃতিত্ব ফিল্ডারকে দেওয়াই যায়!
চোট কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে একটুও সাবলীল ছিলেন না সাকিব আল হাসান। টাইমিং ঠিকমতো করতে পারছিলেন না, ভুগছিলেন গ্যাপ খুঁজে পেতে। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়েও যেতে পারলেন না তিনি।
বাংলাদেশের একশ
বৃষ্টির পর সতর্কতায় ব্যাট করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়। ২০.২ ওভারে দলের রান স্পর্শ করেছেন ১০০।
বৃ্ষ্টির হানা
বেশ কিছুক্ষণ ধরেই কালো মেঘে ছেয়ে গিয়েছিল আকাশ। চারপাশ কালো হয়ে যায় অনেকটাই। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ফ্লাড লাইট। এক পর্যায়ে বৃষ্টি নামে গুঁড়ি গুঁড়ি। খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। একটু পরে বৃষ্টির বেগ বাড়ে আরও।
বোলিংয়ে এসেই নবির উইকেট
মোহাম্মদ নবির প্রথম বলেই সুইপ করার সিদ্ধান্ত নিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ডেকে আনলেন নিজের পতনও।
হতাশায় বিদায় লিটনের
আউট হয়ে বেশ অনেকটা সময় ক্রিজেই দাঁড়িয়ে রইলেন লিটন কুমার দাস। মাঠই ছাড়তে চাচ্ছিলেন না তিনি। হতাশ হচ্ছিলেন হয়তো নিজের ওপরই। আউটের ধরনটিই যে অমন!
লেগ স্টাম্পে শর্ট ডেলিভারি করেন মুজিব উর রহমান। বল দেখেই হয়তো চোখ চকচক করে ওঠে লিটনের। বড় শটের আদর্শ ডেলিভারি! কিন্তু বল হয়তো পিচ করে একটু থমকে আসে, কিংবা অতি জোরে মারার চেষ্টায় লিটন গড়বড় করে বসেন টাইমিংয়ে। মারে তাই জোর হয়নি একদম। স্কয়ার লেগ সীমানা থেকে অনেকটা ভেতরেই সহজ ক্যাচ নেন রহমত শাহ।
৩৫ বলে ২৬ রান করে ফিরলেন লিটন। ১১.২ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৬৫।
নতুন ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান।
আবার ফারুকির শিকার তামিম
গত বছর দুই দলের লড়াইয়ে তামিম ইকবালের দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছিলেন ফজলহক ফারুকি। এবারও বাংলাদেশের অধিনায়ককে ফিরিয়েই সিরিজ শুরু করলেন আফগান বাঁহাতি পেসার।
গত বছরের ওই সিরিজের ফারুকির ফুল লেংথ বল ভুগিয়েছে তামিমকে। এবার ব্যতিক্রম। অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথ বলটি মুভ করেনি খুব একটা। তামিম জায়গায় দাঁড়িয়ে গ্লাইড করার চেষ্টা করেন থার্ডম্যানে। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় কিপারের কাছে।
২১ বলে ১৩ রান করে বিদায় নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দলের রান ৬.৫ ওভারে ১ উইকেটে ৩০।
নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত।
শুরুতে সাবধানী দুই ওপেনার
টসের সময় যেমনটি বলেছিলেন তামিম ইকবাল, বাংলাদেশ শুরুটা করেছে সেভাবেই। সবুজ ঘাসের উইকেটে দুই ওপেনার তামিম ও লিটন কুমার দাস সতর্ক ব্যাটিংয়ে চেষ্টা করছেন দলকে নিরাপদে রাখতে।
৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৪। তামিম খেলছেন ১৬ বলে ৯ রান নিয়ে, লিটনের রান ১৪ বলে ৩।
বাংলাদেশের রান তবু এত বেশি আফগান বোলারদের সৌজন্যে। অতিরিক্ত থেকে ৫ ওভারে এসেছে ১২ রান। এর মধ্যে ওয়াইড থেকেই এসেছে ১১।
সালিমের এলোমেলো শুরু
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ হয়তো শুরুতেই পেয়ে বসল মোহাম্মদ সালিম সাফিকে। প্রথম বলটি তিনি করলেন লেগ স্টাম্পের বাইরে। কিপার তা ধরতে পারলেন না। ওয়াইডসহ ৫ রান। পরের বলটি তিনি করলেন অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে। আবারও ওয়াইড।
এরপর তার প্রথম বৈধ ডেলিভারিতে দারুণ ড্রাইভে বাউন্ডারিতে পাঠালেন তামিম ইকবাল। পরের বলে আবারও ওয়াইড। এক বল পর ওয়াইড আরেকটি। এরপর অবশ্য স্নায়ুকে একটু সামলে নিয়ে ভালোভাবে ওভার শেষ করলেন সালিম। ২০ বছর বয়সী পেসারের প্রথম ওভার থেকে রান এলো ১৩।
সালিমের অভিষেক
আফগানিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হচ্ছে মোহাম্মদ সালিম সাফির। সিরিজ শুরুর আগের দিন ২০ বছর বয়সী এই পেসারকে নিয়ে অনেক আশার কথা শুনিয়েছিলেন আফগান অধিনায়ক শাহিদি। এখনও পর্যন্ত ১৫ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলে সালিমের শিকার ২৫ উইকেট।
টস জিতে বোলিংয়ে আফগানিস্তান
আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাঠালেন বাংলাদেশকে। উইকেটে সবুজের ছোঁয়া আছে, এছাড়া কিছুটা ময়েশ্চারও দেখতে পাচ্ছেন তিনি। এজন্যই আগে বোলিং নিয়ে সুবিধাটা কাজে লাগাতে চান আফগানরা।
বাংলাদেশকে ২৫০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে চান বলে জানালেন শাহিদি। টস হেরে ব্যাটিং পেয়েও খুশি তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, শুরুর সময়টা নিরাপদে কাটিয়ে দিতে পারলে মাঝের ওভারগুলোয় দ্রুত রান তোলা যাবে।
আফগানিস্তানের একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হামশতউল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নবি, নাজিবউল্লাহ জাদরান, আজমতউল্লাহ ওমারজাই, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকি, মোহাম্মদ সালিম সাফি।
বাংলাদেশের একাদশ : তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ।