ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে গত ২২ জুন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর উলাই’য়াহ বাংলাদেশের সক্রিয় সদস্য মো. ইফতেখারুল ইসলাম ওরফে ইফতি এক জঙ্গি মামলায় খালাস পেয়েছেন। রায়ে বলা হয়েছে, শুধু এজাহারকারীর (এসআই মো. রবিউল হকের) সাক্ষ্যের ভিত্তিতে কোনোভাবেই প্রমাণ হয় না, আসামি সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৯ ধারায় অপরাধ করেছে। এর আগে একই ট্রাইব্যুনাল থেকে গত ২১ জুনও একটি রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে একমাত্র আসামি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সদস্য বলে অভিযুক্ত মো. নাফিজ সালাম ওরফে উদয়কে খালাস দেওয়া হয়। হিযবুত তাহরীরের ব্যানার নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সভা-সমাবেশের চেষ্টাসহ লিফলেট বিতরণকালে ঘটনাস্থল থেকে এই আসামি ২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়েছিল।
শুধু এই মামলা দুটিই নয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা একই ধরনের ৭৪টি মামলার রায় পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অভিযুক্ত ৯১ শতাংশ আসামি খালাস পেয়ে গেছেন। সাজা পেয়েছেন ৯ শতাংশেরও কম আসামি। মামলার হিসাবে শতকরা ৮২ ভাগের বেশি মামলার আসামি খালাস পেয়েছেন। সাজা পেয়েছেন ১৭ ভাগের সামান্য বেশি মামলায়। অভিযুক্তরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সন্ত্রাসী সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), হরকাতুল জিহাদ (হুজি), আনসার আল ইসলাম, হিযবুত তাহরীর, হিযবুত তাওহীদ, হিযবুত তাহরীর উলাই’য়াহ বাংলাদেশসহ আরও কিছু জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলে এসব মামলায় উল্লেখ ছিল। এসব রায় গত ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যে ঢাকার এবং গত বছরের মাঝামাঝিতে রাজশাহীর সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। ৭৪টি মামলার বেশিরভাগ রায়ে আসামি খালাসের প্রায় একই ধরনের কারণ উল্লেখ রয়েছে।