ঈদের দিনে ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতে যে বৃষ্টির মুখোমুখি হতে হয়েছে ঢাকাবাসীকে- তা ঈদের নামাজ ও পশু কোরবানিতে বিঘ্ন ঘটালেও বর্জ্য অপসারণে সহায়ক হয়েছে।
বিকাল পর্যন্ত থেমে থেমে ঝড়া বৃষ্টির পানি সড়ক ও অলিগলিতে পড়ে থাকা পশুর রক্ত ও বর্জ্য ধুয়ে দিয়েছে। বৃষ্টির পানির সঙ্গে কিছু খরকুটাও চলে গেছে ড্রেনে।
পানি ছিটিয়ে শহর পরিষ্কারের যে ঝক্কি তা থেকে রেহাই পেয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। প্রতিবার ছোপ ছোপ রক্তের জমাট দাগ থেকে যে দুর্গন্ধ বের হয়, এবার তেমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি। ব্লিচিং পাউডারও ছিটানোর তেমন প্রয়োজন পড়েনি।
এ পরিস্থিতিতে ভারী বর্জ্য হিসেবে পশুর গোবর, জবাই কাজে ব্যবহৃত পাটি, হাটের খরকুটা, মাংসের হাড় ও উচ্ছিষ্ট সরানোতে নজর ছিল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজে নিযুক্ত কর্মীদের।
অবশ্য এ কাজ করতে গিয়েও তাদের ভিজতে হয়েছে মধ্য আষাড়ের বৃষ্টিতে। ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও বৃষ্টির আভাসের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত শেষে দুই সিটি মেয়র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঈদের দিনে তৈরি হওয়া বর্জ্য সরানোর ঘোষণা দেন।
বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, কর্মী ও কন্ট্রোল রুম চালুর কথা জানিয়েছে দুই সিটি।