এক দশক আগেও কোরবানির ঈদে মৌসুমি ফড়িয়াদের মধ্যে লেগে থাকত চামড়া কেনার প্রতিযোগিতা। তখন মাঝারি আকারের একটি গরুর চামড়া কমবেশি ২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারতেন কোরবানিদাতারা। কিন্তু গত বছর সেই চামড়া বিক্রি হয়েছে বড়জোর ৫০০ টাকা দামে। অনেকেই আবার ক্রেতা না পেয়ে মাটিতে পুঁতে রেখেছেন তা। এদিকে চামড়ার তৈরি পণ্যের দাম কিন্তু বেড়েই চলেছে। এক দশক আগের তুলনায় অন্তত তিন গুণ দামে বিক্রি হচ্ছে চামড়ার তৈরি জুতা ও অন্যান্য জিনিসের দাম।
বাংলাদেশে সবকিছুর দাম যেখানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সেখানে পশুর চামড়ার দাম কমছে কেন? সম্ভাবনায় রপ্তানি খাত চামড়াশিল্পের দুরবস্থার কারণই-বা কী—এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। তাঁদের কেউ দুষছেন চামড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটদের। কেউ বলছেন ট্যানারির মালিকদের সক্ষমতার অভাব ও সীমাবদ্ধতা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হলো, এত বছরেও পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠতে পারেনি চামড়াশিল্প। কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে না পারায় মেলেনি ইউরোপের লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সনদ। ফলে ইউরোপের বাজারে প্রক্রিয়াজাত চামড়া রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ।