সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় যোগব্যায়াম চর্চা শুরু করেন অভিনেত্রী নাজিফা তুষি। ছোটবেলা থেকে স্কুলে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ ধরনের যেকোনো আয়োজনে তিনি প্রথম বা দ্বিতীয় হতেন। মনঃসংযোগ ধরে রেখে নিজেকে আরও সক্রিয় রাখতে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মেডিটেশন কোর্সে ভর্তি হন। সেখানে আলাদা করে যোগের ক্লাস হতো। যোগ আসনের উপকারিতা জানার পর সেখানেও ভর্তি হন তুষি। কোর্স শেষ করে নিয়মিত যোগ চর্চা শুরু করেন। জানালেন, বই পড়ে, ইউটিউব দেখে এরপর নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন। পরে বাসার কাছের এক প্রতিষ্ঠান থেকে আবারও যোগব্যায়ামের কোর্স করেন। তুষি মনে করেন, যোগ বা ইয়োগার সুফল খুব দ্রুত পাওয়া যায় না।
ধীরে ধীরে যে সুফল মেলে, তার ফল হয় দীর্ঘস্থায়ী। শুধু শারীরিকভাবেই নয়, মানসিকভাবে ভালো থাকতেও যোগাসন করা জরুরি। যোগচর্চার ফলে ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যের জন্য আলাদা করে সময় দিতে হয় না। প্রায় সব ধরনের যোগাসনের অনুশীলন করেছেন। এর মধ্যে বজ্রাসন, ধনুরাসন ও শবাসন বিশেষ ভালো লাগে। বজ্রাসনে বসে চুল আঁচড়ালে চুল পড়া কমে। ধনুরাসনে দূর হয় মেরুদণ্ডের ব্যথা এবং শবাসনে পুরো শরীরে প্রশান্তি আসে বলে জানালেন। যোগাসন করলেই হবে না, এর সঙ্গে যে স্থানে যোগাসন করছেন, তার পরিবেশটাকেও তৈরি করে নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন এই অভিনেত্রী। যোগাসনের জন্য ঘরে সরাসরি বাতাস ঢোকে এবং দিনের আলো আসে, এমন জায়গা বেছে নেন তিনি।