প্রায়শই আমরা সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে তিনটা মৌলিক বিষয় তুলে আনি আর সেগুলো হলো—ওভারটেকিং, ওভারস্পিডিং এবং ওভারলোডিং। যাদের অনেক সময় ‘থ্রি ওভার’ বলেও উল্লেখ করা হয়। এই তিনটির যেকোনো একটি বা একাধিক কারণে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে থাকে।
তিনটি ফ্যাক্টরের মধ্যে ওভারলোডিং-এর সাথে অন্য দুইটা ফ্যাক্টরের একটা মৌলিক পার্থক্য আছে। যেমন—ওভারটেকিং বা ওভারস্পিডিং বিপদজনক কিন্তু ওভারটেকিং করে যদি কেউ সময়মতো তার লেনে ফিরে আসে বা ওভারস্পিডিং করে যদি কোনো চালক দুর্ঘটনা না ঘটায় তাহলে ঐ দুই ফ্যাক্টরের আপাত কোনো প্রভাব সড়কে পড়ে না। কিন্তু ব্যতিক্রম হচ্ছে ওভারলোডিং।
ওভারলোডিং-এর ফলে যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কমে যায় যা সড়ক দুর্ঘটনায় সরাসরি প্রভাব ফেলে। কিন্তু তারচেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে, একজন চালক বা মালিক ওভারলোডিং করে যাত্রা শুরু করে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটালেও রাস্তার অনেক ক্ষতি করে ফেলে।