মে মাসের ২৪ তারিখ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করবার পর সরকারের কঠোর নীতির কারণে কোণঠাসা হয়ে যাওয়া বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের মাঝে আশাবাদ তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ২১২ (এ) (৩) ধারা অনুযায়ী এ নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এই নতুন নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশে যদি কেউ নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না। নির্বাচনকে বাধা বা প্রভাবিত করবার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সরকারি এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।
সিপিবি এবং আরও দু-তিনটি ছোটখাটো বামপন্থী দল ছাড়া সরকারবিরোধী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত প্রায় সব রাজনৈতিক দলের কর্মীরা একে ইতিবাচক হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন। জনগণের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ, যারা মতাদর্শিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি সমর্থন করেন না, কিছু ব্যতিক্রম বাদে, তাদের প্রায় সবাই আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন ভিসানীতিতে উৎসাহিত বোধ করছেন। তারা সবাই মনে করছেন, এতে সরকার বাড়তি চাপের মুখে পড়বে।