জন্মদিন আনন্দেই কাটে দেশের মঞ্চ-নাটকের দাপুটে অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদারের, কারণ একই দিনে তার একমাত্র মেয়ে অভিনেত্রী ত্রপা মজুমদারেরও জন্মদিন। এবারের দিনটি একটু বেশি আনন্দের, কারণ রোববার এই অভিনেত্রীর ৮০তম জন্মবার্ষিকী আর মেয়ের ৫০তম। স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অংসখ্য সম্মাননায় ভূষিত এই শিল্পী জীবন সায়াহ্নে এসে মানুষের ভালোবাসাকেই জীবনের সবচেয়ে ‘বড় পুরস্কার’ বলে মনে করেন। এই দীর্ঘ জীবনকে ‘সার্থক’ বর্ণনা করে তিনি বললেন, তার বিশ্বাস ‘সার্থক মৃত্যু’ও হবে তার। এছাড়া আমৃত্যু অভিনয়ের করে যেতে চান বলেও জানিয়েছেন ফেরদৌসী মজুমদার। জীবনের বিশেষ দিনে সেইসব কথাই বলছিলেন গ্লিটজের সঙ্গে।
৮০ বছর পূর্ণ করলেন। জীবনের এই দীর্ঘযাত্রায় এই সময়ে দাঁড়িয়ে নিজের জীবনকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
ফেরদৌসী মজুমদার: এটা দীর্ঘ আলাপে বলতে হবে। এখন শুধু এটুকু বলতে পারি। স্বার্থক জীবন পেয়েছি আমি, আমার বিশ্বাস আমার স্বার্থক মৃত্যুও হবে। খ্যাতি, যশ, ভালোবাসা, মায়া, স্নেহ সবই পেয়েছি এই একজীবনে। জীবন নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নেই, আফসোস নেই। অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। সব মিলিয়েই আমি সার্থক জীবন পেয়েছি। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আমার এই জীবন আরও সার্থক হয়ে উঠবে।
আপনি তো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কারও পেয়েছেন।
ফেরদৌসী মজুমদার: রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার পেয়েছি। এর জন্য আমি গর্বিত। তবে এই পুরস্কার পেয়েছি, তার কারণ মানুষ আমাকে ভালোবেসেছে। তাই সকল পুরস্কার, সম্মাননার চেয়ে আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানুষের ভালোবাসা। এই ভালোবাসায় বড় পুরস্কার এবং এই ভালোবাসার শক্তিতেই আমি আমার জীবনকে স্বার্থক মনে করি।