জামায়াতে ইসলামী বরাবরই সময়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইসলামপন্থি এই দলটি কখনোই জনাকাক্সক্ষা, বাস্তবচিত্র বা জনমানুষের প্রত্যাশা অনুসারে রাজনীতি করতে পারেনি। যে কারণে এই দলটির পক্ষে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হওয়া সম্ভব হয়নি। ইতিহাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে বরং জামায়াতে ইসলামী ভুল কৌশল অবলম্বন করে সময়ের চোরাশ্রোতে ভেসে গিয়েছে। গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচন, গুম, বিনা বিচারে হত্যা বন্ধের দাবিতে দেশ এক চূড়ান্ত মুহূর্তের কাছাকাছি এসে উপস্থিত হয়েছে। হয় এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি ঘটবে। অথবা আরও গহিন অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাবে দেশ। দেশজুড়ে এখন নিত্যনতুন গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছে। এই গুঞ্জনের পালে নতুন করে হাওয়া দিয়েছে জামায়াতের একটি সমাবেশ। এই সমাবেশকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে, চরম দমন নিপীড়নের মুখে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মাঠে অনুপস্থিত জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো ধরনের আপস হয়েছে কিনা।
যদি এমনটি হয়ে থাকে তবে জামায়াতের রাজনীতিতে এটা হবে আরেকটি ভুলের পালক। ঐতিহাসিকভাবেই ভুলের বৃত্ত থেকে দলটি কখনোই বের হতে পারেনি। শীর্ষ নেতাদের যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি হওয়ার পর জামায়াত দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। ২০১৩ সালের পর প্রকাশ্যে সমাবেশ করতে পারেনি। সভা-সমাবেশ করা যে কারও গণতান্ত্রিক অধিকার। এ ক্ষেত্রে জামায়াতেরও সভা-সমাবেশ করার অধিকার আছে। ফলে এটা তো বলাই যায়, দীর্ঘদিন জামায়াত গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। স্বভাবতই অস্তিত্ব বজায় রাখতে অনেকটা মরিয়া হয়েই চেষ্টা করছে জামায়াতে ইসলামী।