সপ্তাহ পার না হতেই আবারও বড় দরপতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। গতকাল সোমবার ফ্লোর প্রাইসের ওপরে থাকা প্রায় ৮২ শতাংশ শেয়ারের দর কমেছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স হারিয়েছে প্রায় ৩১ পয়েন্ট। যদিও ফ্লোর প্রাইসের ওপরে থাকা শেয়ারগুলো ফ্রি-ফ্লোট মার্কেট শেয়ারের ৩০ শতাংশেরও কম। গত ৬ জুনও সূচকের পতন হয়েছিল ৪০ পয়েন্টের বেশি।
এমন দরপতনের জন্য আয়কর আইন নিয়ে নানা বিভ্রান্তিকে দায়ী করছেন কেউ কেউ। তবে বীমা খাত, বিশেষ করে জীবন বীমা কোম্পানিগুলো শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতায় পুরো বাজার নেতিবাচক ধারায় গেছে বলে মনে করেন শীর্ষ কয়েকজন ব্রোকার।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, নতুন আয়কর আইনের কারণে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের মূলধনি মুনাফায় কর বসানোর কথা বলা হয়েছে। তবে আইনটি পাস হলেও ২০১৫ সালের ১ জুলাই জারি করা এ সংক্রান্ত এসআরওটি বহাল থাকবে। নতুন আইনের একটি ধারায় তা সুস্পষ্ট করা হয়েছে। শেয়ারবাজার ‘জুয়াড়ি চক্র’ এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে বলে মনে করেন তিনি। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের এ নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।