অবিশ্বাস্য মনে হয়, গত ২৮ বছরে রাজধানী থেকে ২৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের জলাধার ‘উধাও’ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স-বিআইপির একটি গবেষণার বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, ‘১৯৯৫ সালে রাজধানীতে জলাধার ও জলাভূমি ছিল ৩০ দশমিক ২৫ বর্গকিলোমিটার। ২০২৩ সালে তা মাত্র ৪ দশমিক ২৮ বর্গকিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে রাজধানীর মাত্র ২ দশমিক ৯১ শতাংশ জলাধার ও ৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ সবুজ রয়েছে। অথচ একটি আদর্শ শহরে ১২ শতাংশ জলাভূমি ও ১৫ শতাংশ এলাকায় সবুজ থাকা প্রয়োজন। (সমকাল, ৩ জুন ২০২৩)।
২০১৭ সালে মোহাম্মদ শফিউদ্দিন সরকারের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিল সমকাল। ওই সাক্ষাৎকারে দেখি, মিরপুর-মোহাম্মদপুরে এক সময় অনেক পুকুর, মাঠ ও উদ্যান ছিল। আশির দশকে মানিকনগরের পূর্বে মাঠের দিকে তাকালে দেখা যেত জিরানী খাল গিয়ে বালু নদীতে পড়েছে। কিন্তু এক সময়ের জালের মতো খালের শহর ঢাকায় এখন খাল খুঁজে পাওয়া কঠিন। আরও দুঃখের কথা, গোলাপবাগ খাল ভরাট করেছে মিউনিসিপ্যালিটি স্বয়ং। বুক ভেঙে যাওয়া আরও তথ্য ছিল সেখানে। যেমন, এসব খালের প্রতিটিই ছিল নদী। খাল নাম দেওয়া হয়েছিল নদীকে সহজে মেরে ফেলার জন্য।