এই রাষ্ট্রের যাঁরা শাসক হয়েছেন তাঁরা পরমতসহিষ্ণুতা দেখাননি। চিন্তার স্বাধীনতা দিতে চাননি। আনুগত্য দাবি করেছেন। সৃজনশীলতা পৃষ্ঠপোষকতা পায়নি। মুনাফালিপ্সা ও ভোগের স্পৃহা সবকিছুকে গ্রাস করে ফেলতে চেয়েছে। টেলিভিশন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার সংস্কৃতির চর্চায় সামাজিকতার জায়গাতে ব্যক্তিগত উপভোগকে প্রধান করে তুলেছে। অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে মানুষের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে তিন ধারার বিস্তারও সমাজ ও সংস্কৃতি উভয়কেই অত্যন্ত ক্ষতিকররূপে বিভক্ত করেছে।
ওদিকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে কেবল টাকাই আসেনি, মৌলবাদের চর্চায় উৎসাহও এসেছে। ধর্মনিরপেক্ষতার অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হয়নি; তদ্বিপরীতে রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। গণতান্ত্রিক ও সামাজিক সংস্কৃতির চর্চা যাঁদের করার কথা, তাঁরা অনেকেই ঝুঁকে পড়েছেন প্রচার-প্রতিষ্ঠার অভিমুখে। কেউ কেউ আবার সেবকে পরিণত হয়েছেন ক্ষমতাসীন বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলের। পাড়ায়-মহল্লায় সংস্কৃতিচর্চার সুযোগ সংকুচিত হয়ে এসেছে। এমনকি খেলাধুলার জায়গাও প্রায় নেই। হাস্যকৌতুক বেশ দুর্লভ হয়ে পড়েছে।