কৃষিই কৃষ্টি! কৃষিই সমৃদ্ধি! কৃষিকে ঘিরেই মানবসভ্যতার জাগরণ শুরু। ‘কৃষি’ পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং আদিতম বিষয়গুলোর অন্যতম। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সংশ্লিষ্টতায় কৃষির বিকল্প নেই। কৃষিই পৃথিবীর মূল চালিকাশক্তি। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বিনোদনের অধিকাংশ উপাদান আসে এ কৃষি থেকেই। ফসল উৎপাদন, পশুপাখি পালন, মাছ চাষ এবং বনায়নের জন্য মাটির জৈবিক ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনাই হলো কৃষি। কৃষিকাজ মানবজাতির আদিতম পেশা। এ কৃষিকার্য প্রচলনের ইতিহাস হাজার বছরেরও পুরনো।
কৃষিশিক্ষা কৃষিসংশ্লিষ্ট শিক্ষা, কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেকগুলো পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর কৃষিশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কৃষিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদানকারী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মো. দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কৃষিতে উচ্চতর ডিগ্রি প্রদান করে থাকে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, সিটি বিশ্ববিদ্যালয়, গণ বিশ্ববিদ্যালয়, ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশের দুটি সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ এবং সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অধিভুক্ত করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশে মোট ১৮টি সরকারি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট বা এটিআইতে (এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) এবং ১৬২টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার (চার বছর মেয়াদি) কৃষি ডিপ্লোমা কোর্সটি করার সুযোগ রয়েছে।