নির্বাচনী ইশতেহারে প্রকাশ পায় রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি, নীতিগত অগ্রাধিকার এবং জাতির সামনে চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবিলার প্রস্তাবগুলো। অর্থনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়ানো, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পরিবেশ ও অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, সুশাসন, দুর্নীতি হ্রাস ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মতো অনেক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কথা মুদ্রিত ও লিখিত আকারে ইশতেহারে প্রকাশ করা হয়ে থাকে, যাতে ভোটাররা দলের দৃষ্টিভঙ্গি ভালোভাবে বুঝতে পারেন। তবে এসব প্রতিশ্রুতির মধ্যে যদি চমক থাকে, তা ভোটারদের আলাদা মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং দলের বিজয়ের অন্যতম নিয়ামক হয়ে ওঠে।
২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগের ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারের কথাই ধরা যাক। এ ইশতেহারে প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে বড় চমক ছিল রূপকল্প (ভিশন) ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আওয়ামী লীগই প্রথম, যারা নির্বাচনী ইশতেহারে সময় নির্দিষ্ট করে রূপকল্প ঘোষণা করে, যার মূল উপজীব্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ। এই ঘোষণা দেশের মানুষ বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মনে দারুণভাবে অনুরণন তোলে। ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ওই নির্বাচনে ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী তরুণ ভোটার যাঁদের সংখ্যা প্রায় ২২ শতাংশ, তাঁদের ভোট টানতে সহায়তা করেছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা। আওয়ামী লীগের এই ভূমিধস বিজয়েরও অন্যতম ফ্যাক্টর ছিল ওই তরুণ ভোটার।