অনেকেরই অফিসে দীর্ঘ সময় বসে কাজ করতে হয়। এতে পিঠে, কোমরে ব্যথা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের সমস্যার মুল কারণ বসার ভঙ্গি, চেয়ার ও কম্পিউটারের ভুল অবস্থান, একটি নিদিষ্ট অবস্থায় পিঠ ঠেকিয়ে রাখা ইত্যাদি। এতে কাঁধ, হাত ও পায়ের উপর চাপ বাড়ে, বিশেষ করে পিঠের মাংসপেশি ও স্পাইনাল ডিস্কগুলোতে চাপ বাড়াতে পারে। এই সমস্যা কমাতে কিছু কৌশল অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
কাজের ফাঁকে একটু বিরতি নিন : একটানা অনেকক্ষণ বসে থাকার কারণে কাঁধ ও পিঠের ব্যথা বাড়তে থাকে। এজন্য সারাদিনে কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু হাঁটাচলা করুন। হাত, পা ও পিঠ নড়াচড়া করুন। এতে রক্তসঞ্চালণ ঠিক রেখে মাংসপেশি আলগা রাখতে সহায়তা করবে। প্রতি ৩০ ঘন্টা পর পর ৫ মিনিট বিরতি নিয়ে হাঁটচলা ও ব্যায়াম করুন। মাঝেমধ্যে নিজের সিট থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বা বসেও কিছু ফ্রি হ্যান্ড এক্সসারসাইজ করতে পারেন।
চেয়ার ও কম্পিউটারের উচ্চতা ঠিক রাখুন : যখন চেয়ারের তুলনায় কম্পিউটারের উচ্চতা অনেক বেশি বা কম থাকে তখন পিঠ ও কাঁধের ব্যাথা বাড়তে পারে। এজন্য কম্পিউটারের উচ্চতা ও বসার পজিশন ঠিক আছে কিনা সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন আপনি সোজা তাকাবেন তখন আপনার চোখ আপনার কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে থাকতে হবে এবং এটি সঠিক পজিশন হিসেবে গণ্য করা হয়। যদি সঠিক স্থানে না থাকে তাহলে কম্পিউটার স্ট্যান্ড ব্যবহার করুন। মনিটর ২০ ইঞ্চি- ৪০ ইঞ্চি দূরত্বে রাখুন, এতে আপনার চোখের সমস্যাও হবে না। পাশাপাশি আপনাকে একটি ভালোমানের ও নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় এমন চেয়ারের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে আপনার হাত,পা,পিঠ ও কাঁধ সোজা রাখতে সাহায্য করবে।
বরফ বা গরম থেরাপি নিন : গরম সেঁক অথবা বরফ থেরাপি পিঠ বা কাঁধের ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। আঘাত পেলে বা পেশিতে ব্যথা অনুভব করলে বরফ ব্যবহারে উপকার পাবেন। অপরদিকে গরম ছেঁক বা থেরাপি রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং ব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখে। দুটি পদ্ধতিই স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ ও কার্যকরী।
ম্যাসাজ থেরাপি: নিয়মিত ম্যাসাজে ব্যথা কমে। ম্যাসাজে পেশি শিথিল, রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। ম্যাসেজ থেরাপি দীর্ঘস্থায়ী পিঠের ব্যথায়ও সাহায্য করতে পারে। যারা প্রতিনিয়ত পিঠের ব্যথায় ভুগছেন তাদের ব্যায়াম এবং জীবনধারা পরিবর্তন করা জরুরি।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পিঠ ও কাঁধের ব্যাথা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখার পাশাপাশি ধূমপান ত্যাগ জরুরি।