চল্লিশের কোঠায় পা মানে আপনি জীবনের এক নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছেন। এই বয়সে পেশাজীবন, সংসার, সাফল্য তুঙ্গে। তারুণ্যের ছটফটানির দিন শেষ, গল্লাপান স্থির হয়েছেন। গুছিয়ে এনেছেন সবকিছু, আর ঠিক এই সময়ই আকস্মিক হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) সবকিছু এলোমেলা করে দিতে পারে। বয়স ৪০ পেরোনোর পর থেকেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তাই এটা সাবধানতার সময়, নিজের দিকে আলাদা করে নজর দেওয়ার সময়।
-খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন। তেল-চর্বিযুক্ত খাবার, ফাস্টফুড, গরু-খাসির মাংস, কলিজা, মগজ; কেক-পেস্ট্রি, কোমল পানীয় ইত্যাদির পরিমাণ সীমিত রাখুন। তাজা শাকসবজি, ফলমূল, লাল চাল বা লাল আটার তৈরি খাবার, ভুট্টা-যব এবং সালাদ বেশি করে খান। লবণ খাওয়াও কমিয়ে দিন।
- এতদিন সময় পাননি, এবার হাঁটতে শুরু করুন। বেশি না, প্রতিদিন ৩০ মিনিটই যথেষ্ট। অথবা সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট। হাঁটাহাটি ছাড়াও সাঁতার, সাইকেল চালনা, খেলাধুলা করতে পারেন। মোট কথা, এবার নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের অভ্যাস করুন, তাহলেই সুস্থ-সচল থাকতে পারবেন।
-ধূমপান ছাড়ার সিদ্ধান্তটা শুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। মনের জোর থাকলে নিশ্চয়ই পারবেন। পাশাপাশি তামাক, গুল, জর্দা ইত্যাদি সেবনের অভ্যাসও পুরোপুরি বাদ দিন।
-পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস সন্ধান করুন। বাবা-মা, ভাইবোন বা রক্ত-সম্পর্কের কারও মধ্যে ৫৫ বছরের কম বয়সী পুরুষ বা ৬৫ বছরের কম বয়সী নারীদের হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকলে সতর্ক হোন ।