আলু, গম ও ভুট্টার ক্ষেত আছে বগুড়ার কাহালু উপজেলার চাষি ফরিদ উদ্দিনের। কিন্তু চাষের মৌসুমে সার নেই। উৎপাদনে বড় ক্ষতি হবে ভেবে বাধ্য হয়ে বেশি দামে সার কিনেছেন তিনি।
উত্তরের আরেক জেলা জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের চাষি কামরুজ্জামান। চাষাবাদে সার সংকট নিয়ে আক্ষেপ করে কামরুজ্জামান বলেন, ‘ইউরিয়া সার পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু দাম বেশি নিচ্ছে। টিএসপি নেই, কোথাও মিললে যেমন খুশি দাম নিচ্ছে। ডিলাররা সংকটের অজুহাতে সরাসরি সার বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। খুচরা বিক্রেতাদের কাছে গেলে তারা অতিরিক্ত দাম হাঁকেন, কৃষকরা জিম্মি হয়ে গেছেন।’
চাষি ফরিদ উদ্দিন ও কামরুজ্জামানের মতো উত্তরাঞ্চলের বহু কৃষক অভিযোগ করেন, সার ও বীজ সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ।
ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই দেশের উত্তরাঞ্চলে সারের সংকট দেখা দিয়েছে। এখন দেশের অন্য অঞ্চলেও সংকট দেখা দিচ্ছে। সংকটের কারণে সরকারি সার এখন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি বীজ ও সেচের খরচ এখন আকাশচুম্বী। এ অবস্থায় সর্বোচ্চ ফসল উৎপাদন হওয়া রবি মৌসুমে বোরো ধান, গম, আলু, সরিষাসহ অন্য ফসল চাষের খরচ কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা কৃষকদের।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলায় এ সংকট আরও বেশি। ডিলার, সাব-ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেজিপ্রতি ২ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে ইউরিয়া, ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ও মিউরেট অব পটাশসহ (এমওপি) অন্যান্য নন-ইউরিয়া সার বিক্রি হচ্ছে।