সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভাবনীয় উন্নয়নে বাংলাদেশে অতি দরিদ্রের সংখ্যা কমে এলেও সমাজের উঁচু ও নিচু তলার বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যবধান আরও বেড়েছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশের বন্ধু জুলিয়ান ফ্রান্সিস।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আলোচনা অনুষ্ঠান ইনসাইড আউটে অংশ নিয়ে তিনি বলছেন, “এটা খুব স্পষ্ট যে, খুব ধনী ও খুব গরিবের মধ্যে ফারাক বড় হচ্ছে। যদিও অতি দারিদ্র্য বেশ কমেছে, ১০ থেকে ১৪ শতাংশ মানুষ এখনো খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছে।”
জুলিয়ান ফ্রান্সিসের মতে, এর সমাধান আছে কর আদায় এবং সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মধ্যে।
“প্রত্যেকে একমত হবেন, জনগণের যে কর পরিশোধ করা উচিত সেটা যদি পরিশোধ করে, তাহলে প্রয়োজন মেটানোর জন্য সরকার বেশি অর্থ পাবে। আর তখন যাদেরকে সাহায্য করা প্রয়োজন, তাদেরকে সামাজিক কল্যাণ অনুদান দিয়ে সহায়তা করা যাবে।”
অথচ যাদের আয়কর দেওয়াই উচিত, তাদের কাছ থেকে আয়কর আদায় করেও এক ধরনের আত্মতুষ্টিতে ভোগার প্রবণতা দেখার কথা বলছেন জন্মসূত্রে ব্রিটিশ এই উন্নয়নকর্মী।
অক্সফামের হয়ে কাজের সূত্রে একাত্তরে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাঙালি শরণার্থীদের সহায়তার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু হয়ে ওঠেন জুলিয়ান ফ্রান্সিস।
একাত্তরের সেই আত্মার বন্ধনে বাংলাদেশে থিতু হওয়া জুলিয়ান ফ্রান্সিসকে ২০১৮ সালে নাগরিকত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এর আগে ২০১২ সালে তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু’ সম্মাননা।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়, কোচবিহারসহ বিভিন্ন এলাকায় ছয় লাখের বেশি বাংলাদেশি শরণার্থীর মধ্যে অক্সফামের শরণার্থী ত্রাণ কর্মসূচির সমন্বয়ক ছিলেন তিনি।