মিয়ানমারের প্রতি আস্থার ঘাটতি প্রত্যাবাসনে বাধা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৭ মে ২০২৩, ১৩:১৪

রোহিঙ্গাদের রাখাইনে প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কক্সবাজার থেকে তাঁদের একটি প্রতিনিধিদলকে গত শুক্রবার মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা রাজ্যটিতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছয় বছর পর আদি নিবাসে ঘুরে এসে তাঁরা মিয়ানমারে ফেরার ব্যাপারে উৎসাহ পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, রাখাইনে ফেরার মতো পরিবেশ নেই। তাঁদের ভিটেমাটি গুঁড়িয়ে দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ব্যারাক, ফাঁড়ি ও চৌকি। মংডুতে আদি নিবাসের পরিবর্তে তাঁদের রাখার জন্য ‘মডেল গ্রাম’ তৈরি করা হয়েছে। এসব কারণে প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের প্রতি তাঁদের আস্থার ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে।


এমন প্রেক্ষাপটে মিয়ানমার ও বাংলাদেশকে নিয়ে চীনের এবারের প্রত্যাবাসনের চেষ্টাও শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখবে কি না, সে প্রশ্ন সামনে এসেছে। এর আগে মিয়ানমারের আন্তরিকতা এবং রাখাইনের পরিবেশ নিয়ে রোহিঙ্গাদের আপত্তির কারণে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে দুই দফা চেষ্টা করেও প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। 


বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন অবশ্য গতকাল শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে নিয়ে চীন অব্যাহতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দুই দেশ এ সমস্যা সমাধানে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশও আশাবাদী। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও প্রত্যাবাসন এবার শুরু হতে পারে।


■ চীনের মধ্যস্থতায় ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট প্রত্যাবাসনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছিল।


■ এর আগে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার প্রত্যাবাসনের তারিখ চূড়ান্ত করেছিল ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর।


২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংসতা থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে নিবন্ধিত ৯ লাখ ৬০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও বর্তমানে তারা একটি বড় আর্থসামাজিক বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া তাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তাও কমে আসছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ঘুমধুম সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় মিয়ানমারের ৪০০ চাকমা

প্রথম আলো | ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান
২ মাস, ৪ সপ্তাহ আগে

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us