সরকার নির্ধারিত দাম মানছে না ব্যবসায়ীরা

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:০২

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে একের পর এক দাম নির্ধারণ করছে সরকার। তবে সরকার নির্ধারিত এসব মূল্য মেনে চলছেন না ব্যবসায়ীরা। গ্রীষ্মকালীন চাহিদা, রোজা ও ঈদে বাড়তি চাহিদার কারণে নিত্যপণ্যটির সরবরাহ সংকট রয়েছে বাজারে। ফলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি অন্তত ২৫ টাকা। সর্বশেষ ঈদে খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি চিনি বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৩৫ টাকায়। 


পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের পর থেকে কয়েক দিন ধরে পাইকারি বাজারে লেনদেন প্রায় বন্ধ। এদিকে খুচরা বাজারে চিনির চাহিদা বাড়লেও সরবরাহ তুলনামূলক কম থাকায় নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশিতে লেনদেন হয়েছে পণ্যটি। কোথাও কোথাও পণ্যটি কেজিপ্রতি ১৩৫ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশীয় মিলগুলোর চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ বা উৎপাদন কম হওয়া ছাড়াও বাজার তদারকির অভাবে অস্বাভাবিক বাড়তি মূল্যে চিনি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।


৬ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিনির দাম পুনর্নির্ধারণ করে। নতুন দরে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হবে ১০৪ ও প্যাকেট চিনি ১০৯ টাকায়। এর আগে একই মানের চিনির দাম ছিল যথাক্রমে ১০৭ ও ১১২ টাকা। পাইকারি বাজারে মণপ্রতি ৪ হাজার টাকায় চিনি কিনে সেটি খুচরা পর্যায়ে কোনোভাবেই সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি সম্ভব নয় বলে দাবি খুচরা ব্যবসায়ীদের। আরো আগে চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং রোজা ও গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ কমিয়ে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতেও পাইকারি পর্যায়ে চিনির দাম কমেনি। সর্বশেষ সরকারিভাবে চিনির দাম কেজিপ্রতি আরো কমিয়ে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে নতুনভাবে দাম নির্ধারণের পরও স্থিতিশীলতায় ফেরেনি চিনির পাইকারি বাজার। গরমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বরং দাম আরো বেড়েছে। এ কারণে ঈদের সপ্তাহে প্রতি কেজি চিনি সরকারি দামের তুলনায় ২৫-৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us