ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে রাজধানীর প্রধান নৌবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। এই লঞ্চঘাট থেকে দেশের ৪১টি রুটে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ঢাকা ছেড়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত সদরঘাট টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, সরকারি অফিসগুলোতে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় বিকাল থেকেই পল্টুনে বাড়তে থাকে যাত্রীদের উপস্থিতি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমানতালে বাড়তে থাকে যাত্রীদের চাপ। ভোলা, হাতিয়া, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালীগামী লঞ্চগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ঘাট ছাড়ছে। তবে ঢাকা-বরিশাল রুটে যাত্রীর চাপ থাকলেও তা অন্য রুটের থেকে কম।
এদিন যাত্রীর চাপ বাড়ায় বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী লঞ্চের সংখ্যা গত দিনের থেকে বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (১৭ এপ্রিল) দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটের ৭০টি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও মঙ্গলবার ছেড়েছে ৮৫টি।
সচিবালয়ে কর্মরত আহাদ উদ্দীন গ্রামের বাড়ি বরিশালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সদরঘাটে এসেছেন স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে। তিনি বলেন, ‘এবার ছুটি কম, তাই আর কালক্ষেপণ করিনি। আজই রওনা করে দিলাম। গতকাল ফোন দিয়ে কেবিন বুক করে রেখেছিলাম।’
এমভি আওলাদ লঞ্চের সুপারভাইজার আশিকুর রহমান বলেন, ‘প্রচুর যাত্রী আজ। লঞ্চগুলো সময়ের আগে ভরে যাচ্ছে। গার্মেন্টস ছুটি হলে পা ফেলার জায়গা থাকবে না ঘাটে।’
লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আজ অফিস ছুটি হয়ে যাচ্ছে, মোটামুটি যাত্রী ছিল সব রুটেই, বিশেষ করে ভোলা ও হাতিয়া রুটগুলোতে। আশা করছি কাল থেকে সব রুটেই যাত্রী আরও বাড়বে। আমাদের লঞ্চ প্রস্তুত আছে। যাত্রী বাড়লে রুটগুলোতে লঞ্চও বাড়ানো হবে।’