দেশে ডিজিটাল লেনদেনের কাঠামো তৈরি হয়ে গেছে

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:০১

দেশের ব্যাংক খাতে ডিজিটাল লেনদেন, কার্ডের ব্যবসা ও নগদবিহীন লেনদেনসহ নানা বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন দেশীয় মালিকানার বেসরকারি দি সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন।


আর্থিক সেবা ডিজিটাল হওয়ার পথে কত দূর এগোল?


মাসরুর আরেফিন: আমি মনে করি যথেষ্ট এগিয়েছে। মানুষ ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেনে ইতিমধ্যে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। হাতে পিওএস মেশিন নিয়ে কিংবা কাগজে কিউআর কোড ছাপিয়ে নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে পণ্য বিক্রির জন্য বিক্রেতারা যাওয়া শুরু করেছেন। আমরা সিটি ব্যাংক-বিকাশ ডিজিটাল ন্যানো ঋণ বিতরণ শুরু করেছি। এর মধ্য দিয়ে ডিজিটাল ঋণও এ দেশে শুরু হয়েছে। এখন দরকার যাত্রাপথে টোল প্লাজা ইত্যাদিতে ডিজিটাল লেনদেন চালুর সক্ষমতা তৈরি, দরকার ডিজিটাল মাধ্যমে ঋণপত্র খোলা, ভার্চ্যুয়াল কার্ডের ব্যবহার ইত্যাদি। কোনো কোনো ব্যাংক এসব নিয়ে কাজ করছে। আমরা সরকারের ‘পরিচয়’ ডেটাবেজের সঙ্গে যুক্ত। ফলে ব্যাংকিং সেবা ডিজিটাল করার কাঠামো তৈরি হয়ে গেছে।


কার্ড, এমএফএস, ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা অ্যাপসসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বড় অঙ্কের ডিজিটাল লেনদেন হচ্ছে। এসব সেবার ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?


মাসরুর আরেফিন: বর্তমান যেহেতু ভালো, ভবিষ্যৎ তাই আশাব্যঞ্জক। আমাদের সিটিটাচ ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপে গত বছর মানুষ ঘরে বসেই লেনদেন করেছেন প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চালু করা এনপিএসবি বা আরটিজিএস গেটওয়ের কথাই ধরেন। কোটি কোটি টাকা ব্যাংক থেকে ব্যাংকে চলে যাচ্ছে মুহূর্তের মধ্যে। আমাদের ব্যাংকের কার্ড দিয়ে অন্য ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তোলা যাচ্ছে মুহূর্তেই। সামনে ট্যাপ অ্যান্ড গো আসবে, হাতে পরার ঘড়ির মধ্যে ভার্চ্যুয়াল কার্ড আসবে। আর বিকাশ-নগদ-রকেট এরা টাকা লেনদেন ও ইনস্ট্যান্ট পণ্য ক্রয়কে অ্যাপ-টু-অ্যাপ ট্রান্সফারভিত্তিক করে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে।


আপনাদের হাত ধরে এ দেশে ক্রেডিট কার্ড জনপ্রিয়তা পায়। ক্রেডিট কার্ডের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?


মাসরুর আরেফিন: ক্রেডিট কার্ড হলো প্লাস্টিকে ঢোকানো ‘পারসোনাল ওভারড্রাফট’ ধরনের ঋণ। সেটা পেতে হলে ঋণ পরিশোধের যোগ্যতার প্রমাণ লাগবে, আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণ লাগবে। আমাদের দেশে এখন রিটার্ন জমা দেন এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৫-৩০ লাখ। এর মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা ২১ লাখ। সুতরাং যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষের সংখ্যার বিচারে কার্ডসংখ্যা ঠিকই আছে। ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার নিয়মটা শিথিল করা হলে ক্রেডিট কার্ড অতি দ্রুত ১ কোটি ছোঁবে, নিম্ন আয়ের মানুষও ক্রেডিট কার্ড পাবেন। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিচারে সেটা দরকার। ক্রেডিট কার্ড পুরোপুরি জামানতবিহীন ঋণ হলেও ঋণ শোধের হার খুব ভালো। রাজধানী ও বিভাগীয় শহরের বাইরে ক্রেডিট কার্ড না যাওয়ার প্রধান কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ যোগ্যতাসম্পন্ন গ্রাহক সেখানে না থাকা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us