না খেয়ে থাকাই রোজা নয়

সমকাল মুফতি আতিকুর রহমান প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৩১

ইবাদতসমূহের মধ্যে রোজার প্রতিদান ব্যাপক। রোজার প্রতিদানে দেওয়া হবে অগণিত সওয়াব। মহান আল্লাহ বিশেষভাবে ঘোষণা করেছেন, রোজা কেবল তাঁরই জন্য। মূলত সকল ইবাদতই তাঁর জন্য। তবুও রোজাকে বিশেষভাবে উল্লেখ করার কারণ হলো, রোজাদার কেবল আল্লাহর জন্যই সারাদিন পানাহার ও কামাচার পরিহার করেন।


রোজায় লোক দেখানোর বিষয়টি খুব কম। কেননা অন্যান্য ইবাদতের আকৃতিগত রূপ আছে। যেমন- যখন নামাজ আদায় করা হয়, যাকাত প্রদান করা হয়, হজ পালন করা হয় তখন অন্যান্য মানুষ তা দেখে বুঝতে পারে যে, অমুক ইবাদত পালন করা হচ্ছে। তাই এসব ইবাদতে রিয়া বা লোক দেখানোর অসুখ ইবাদতকারীর মনে প্রবেশ করতে পারে।


পক্ষান্তরে রোজা এমন এক ইবাদত যেটার উল্লিখিত ইবাদতসমূহের মতো বিশেষ কোনো আকৃতিগত রূপ নেই। তাই কেউ রোজাদারকে দেখে বুঝতে পারে না, সে রোজা রেখেছে কি না। সে রোজা রেখেছে কি না, তা জানেন কেবল আল্লাহ তায়ালা। তাই রোজায় লোক দেখানোর বিষয়টি সাধারণত সামনে আসে না। তবে রোজার ক্ষেত্রেও রিয়া বা লোক দেখানোর বিষয়টি সংগঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আল্লাহ তায়ালা রোজার কাঠামো ও ক্রিয়াকলাপকে অন্যান্য ইবাদত থেকে আলাদা করে এমনভাবে সাজিয়েছেন, যাতে রোজায় একমাত্র তাঁর সন্তুষ্টি ব্যতিত অন্য কোনো উদ্দেশ্য না থাকে। আর মানুষ রোজা রাখেও সেই উদ্দেশ্যে। তবুও বিভিন্ন কারণে সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়ে যেতে পারে। সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হলে রোজা কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না।


আল্লাহ তায়ালা রোজায় যে অগণিত সওয়াব রেখেছেন তা পরিপূর্ণভাবে অর্জন করার জন্য শুধু না খেয়ে থাকলেই হবে না। বরং রোজার হক আদায় করতে হবে। রোজার আদব রক্ষা করতে হবে। অন্যথায় রোজা হবে সওয়াবহীন।


রোজার হক ও আদব রক্ষার জন্য করণীয় হলো, প্রথমত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একনিষ্ঠভাবে রোজাপালন করতে হবে। কেননা তা ছাড়া কোন ইবাদতই গ্রহণীয় হয় না। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, তারা আদিষ্ট হয়েছে আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদত করতে। সুরা বাইয়িনাহ, আয়াত: ৫


শুধু উদরকে খাবার থেকে এবং প্রবৃত্তিকে কামাচার থেকে বিরত রাখার নাম রোজা নয়। এগুলোর সঙ্গে জিহ্বা, কান ও চোখেরও রোজা রয়েছে। তাই জিহ্বাকে মন্দ কথা থেকে, কানকে অশ্লীল শ্রবণ থেকে এবং চোখকে অশালীন দৃশ্য থেকে বিরত রাখতে হবে। তবেই রোজার পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে।


রোজা রেখে জিহ্বাকে সংযত করতে না পারলে রোজা হবে সওয়াবহীন। জিহ্বা অধিকাংশ অনিষ্টের মূল। অধিকাংশ গোনাহের কাজ সংগঠিত হয় জিহ্বার মাধ্যমে। তাই রোজা রেখে মিথ্যা বলা, পরনিন্দা করা, কুৎসা রটানো, ঝগড়া করা, গালি দেয়া ও অশ্লীল কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।


হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত সুফিয়ান ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) বলেন, আমি একদিন রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! যে জিনিসগুলো আপনি আমার জন্য ভয়ের বস্তু বলে মনে করেন, তার মধ্যে অধিক ভয়ঙ্কর কোন জিনিস? হজরত সুফিয়ান (রা.) বলেন, এটা শুনে রাসুল (সা.) নিজের জিহ্বা ধরে বললেন, এটা। সুনানে তিরমিজি ২৫৬৬

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us