নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারের আঁচ লেগেছে রাজধানীর পাইকারি মার্কেট ও শপিংমলগুলোতেও। ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের পকেট কাটার অভিযোগ উঠছে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। মূলত করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অজুহাত তুলে রমজানের শুরু থেকে পোশাকের বাড়তি দাম হাঁকাচ্ছেন তারা। বিষয়টি অকপটে স্বীকারও করছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনাকাল ও সরকারের বিধি নিষেধের কারণে গত তিন বছরের (২০২০, ২০২১ ও ২০২২) ঈদে আশানুরূপ মুনাফা হয়নি। এর সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবে ব্যবসায় দেখা দিয়েছে মন্দাভাব। তাই এবারের ঈদে গত তিন বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হবে, না হলে আগামীতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
রমজানের ঈদের বাকি এখনো ২১ থেকে ২২ দিন। তবে এরই মধ্যে মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। অনেকেই ঈদের কেনাকাটা শুরু করেছেন। অফিস-কিংবা বাড়ির কাজের কারণে দিনের বেলা না আসলেও সন্ধ্যার পরপরই ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
রাজধানীর গুলিস্তান,পল্টন, মৌচাক-মালিবাগ এবং নিউমার্কেট এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, ক্রেতাদের চাহিদা মূলত গজ কাপড়, থ্রিপিস ও পাঞ্জাবিতে। এই তিনটির পাশাপাশি শাড়ি ও লেহেঙ্গা, গাউনসহ অন্যান্য পোশাকও বিক্রি হচ্ছে। দোকানগুলোও গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে সারিসারিভাবে সাজিয়ে রেখেছে দেশি-বিদেশি পণ্যগুলো। ক্রেতা দেখলেই হাঁকডাক দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। নানান কথা ও অফার দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্টের চেষ্টা করছেন তারা। তবে ক্রেতার পোশাক পছন্দ হলেই ইচ্ছামতো দাম হাঁকাচ্ছেন। হাজার টাকার কাপড়ে ন্যূনতম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা মুনাফা করছেন। অর্থাৎ ক্রেতারা ২০২২ সালে যে পোশাক ১ হাজার টাকায় কিনেছেন। এবছর সেটা ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। যারা দর-দাম কম করছেন না, তাদের আরও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের এক কথা করোনার কারণে তিন বছর ব্যবসা করতে পারিনি। পুঁজি খাটিয়ে ব্যবসা ধরে রেখেছি, এবারের ঈদে পোষাতে হবে। অর্থাৎ তিন বছরের লাভ এবার করতে হবে।