সিনেমায় অভিনয় করেননি কখনও, তবু উরফি জাভেদ এই মুহূর্তে মুম্বইয়ের উন্মাদনা। সেই আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সর্বত্র। সবাই তাঁকে চেনে। সমাজমাধ্যমে লক্ষাধিক অনুরাগী মডেল-তারকার। সম্প্রতি ফ্যাশনে নতুন ধারা আনার জন্য তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন এক সংস্থার পক্ষ থেকে। তবে কোনও কিছুই উরফিকে সংজ্ঞায়িত করতে পারে না। তিনি মৌলিক তাঁর মগজাস্ত্রে। কখনও পোশাকে, কখনও বিতর্কিত মন্তব্যে শিরোনামে চলে আসেন তিনি। তাঁকে নিয়ে চর্চা এবং কৌতূহলের অন্ত নেই।
কখনও কখনও রিয়্যালিটি শোয়ে অংশ নিতে দেখা যায় উরফিকে, কারণ তিনি চ্যালেঞ্জ ভালবাসেন। তবে কোনও বাঁধাধরা কাজ করেন না। কী ভাবে উপার্জন করেন তিনি? প্রতি মাসে তাঁর আয় কত? এমন নানা প্রশ্ন ভিড় করে আসে অনুরাগীদের মাথায়। যখনই জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, উরফির জবাবে হেঁয়ালি ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। তবু প্রকাশ্যে এসে পড়েছে উরফির উপার্জনের অঙ্ক।
‘বড়ে ভাইয়া কি দুলহনিয়া’, ‘চন্দ্রনন্দিনী’, ‘কসৌটি জ়িন্দগি কে’-র মতো জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন উরফি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ নাকি ৪০ লক্ষ টাকা থেকে ৫৫ লক্ষ টাকার মধ্যে। যে অনুষ্ঠানগুলি করেন, তার প্রতি পর্বের জন্য তিনি ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। প্রায় প্রতিদিনই তাঁকে দেখা যায় বিমানবন্দরে। কেন, তা অবশ্য এখনও রহস্যই থেকে গিয়েছে।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, উরফি খুবই সাধারণ জীবনযাপন করেন। এক সাক্ষাৎকারে উরফি জানান, তাঁর কাজ নেই, তাই অর্থ নেই। তাই তিনি পোশাক নিয়ে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার দিকে ঝুঁকেছেন ছোট থেকেই। সে জন্য নিন্দা এবং প্রশংসা দুই-ই জোটে। তবে ফ্যাশনই তাঁর প্রথম প্রেম। টাকা না থাকলেও যে বুদ্ধির জোরে ফ্যাশন নিয়ে লেগেপড়ে থাকা যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন উরফি। পুরনো জামা কেটে আর এক পুরনো জামার সঙ্গে জুড়েই তিনি নতুন জামা বানিয়ে নেন। কাপড় কাটা এবং সেলাই করায় তিনি ওস্তাদ! নিজের পোশাক বরাবর নিজেই বানিয়েছেন। হালে পেয়েছেন মনের মতো এক ডিজ়াইনারকে। যদিও ‘কিম্ভূত’ পোশাকআশাক যা-ই বানাতে দেন, বুদ্ধি সব নিজেরই।