পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনার পরও প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন থেকে পিছু হটবে না রাশিয়া। সোমবার রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন এ কথা বলেছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেলারুশে এমন অস্ত্র মোতায়েন করার ঘোষণা দেওয়ার পর পশ্চিমারা সমালোচনা করে আসছেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
শনিবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ন্যাটো জোটের অন্তর্ভুক্ত দেশের সঙ্গে সীমান্ত থাকা বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন পুতিন। এই ঘোষণার পর মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারির আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ইউক্রেন ছাড়াও ন্যাটোভুক্ত তিনটি দেশ পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া ও লাটভিয়ার সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে বেলারুশের। ৯০-এর দশকের পরে এই প্রথম কোনও মিত্র দেশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে চলেছে রাশিয়া।
ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়ার এমন ঘোষণার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বানের অনুরোধ করেছে তারা।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এমন প্রতিক্রিয়াতে রাশিয়ার পরিকল্পনার ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।
শনিবার পুতিন বলেছিলেন, পারমাণবিক অস্ত্র বৃদ্ধি না করার আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন না করে বেলারুশে এই কৌশলগত অস্ত্র মোতায়েন করা হবে। এটি অস্বাভাবিক কিছু না। দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এমনটি করে আসছে। দীর্ঘ দিন ধরে তাদের মিত্র দেশের ভূখণ্ডে নিজেদের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন রেখেছে ওয়াশিংটন।
বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়ায় কঠোর সমালোচনা করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। পুতিনের এমন সিদ্ধান্তকে ‘বিপজ্জনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে সমালোচনা করেছে সামরিক জোটটি।