বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, মুঠোফোনে মানুষ ও তেলাপোকা থেকে উদ্ভূত অদৃশ্য জীবাণু লুকিয়ে রয়েছে। এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় শতভাগ স্মার্টফোনের পর্দায় ইকোলাই ও ফিক্যাল স্ট্রেপটোকোকাস জীবাণু রয়েছে। এ ছাড়া খাদ্যে বিষক্রিয়া তৈরি করে এমন জীবাণু ব্যাসিলাস সেরিয়াস এবং নিউমোনিয়া সৃষ্টিকারী জীবাণু এস অরিয়াসের উপস্থিতিও পাওয়া গেছে। ১০টি মুঠোফোন থেকে ২০ বার এসব পাওয়া গেছে। এদের অর্ধেকের মধ্যে তেলাপোকার মলে থাকা পি অ্যারুগিনোসা পেয়েছেন গবেষকেরা।
সেলসেলের পৃষ্ঠপোষকতায় গবেষণাটি পরিচালিত হয়। প্ল্যাটফর্মটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সারাহ ম্যাকনমি বলেছেন, ‘আমাদের মুঠোফোনের পর্দায় কী পরিমাণ ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া রয়েছে এবং কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া সাধারণত থাকে, তা জানতে আমরা আগ্রহী ছিলাম। প্রাপ্ত ফলাফল সত্যিই মর্মান্তিক। মানুষের মল থেকে উদ্ভূত অনেক ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি আমাদের মুঠোফোন সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখা ও জীবাণুমুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্বকে অনুধাবন করায়।’ তিনি যোগ করেন, ‘তেলাপোকার মল থেকে উদ্ভূত পি অ্যারুগিনোসার উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে অস্বস্তির। একবার ভাবুন, এই প্রাণীর মল বর্জ্য আমাদের মুঠোফোনে রয়েছে!’
গবেষণায় ২২ থেকে ৬২ বছর বয়সী ছয়জন নারী ও চারজন পুরুষের মুঠোফোনের পর্দা পরীক্ষা করা হয়। এগুলোতে ২০টি ফেকাল স্ট্রেপ্টোকোকি ও এন্টারোকোকি পাওয়া গেছে, যা মানুষ এবং অন্য প্রাণী উভয়ের পাকস্থলী ও অন্ত্রে তৈরি হয়। নমুনায় এস অরিয়াসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ফলে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, ত্বকের সংক্রমণ এবং এমনকি খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঝুঁকির শঙ্কা থাকে।
গবেষকদের দাবি, বাথরুমে মুঠোফোন নিয়ে যাওয়ার ফলেও জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বাথরুমে মুঠোফোন নিয়ে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই মুঠোফোনে এসব জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। বাথরুমে প্রাপ্ত জীবাণুর মধ্যে ইকোলাই অন্যতম।