অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ওরফে এনবিআরের চেয়ারম্যান হিসেবে ২২ অক্টোবর ২০০৭Ñ নতুন শতাব্দীর যে সময়টিতে আমি এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান পুরোহিতের পদ পাই, ওই সময়টা আমাদের দেশের তো বটেই; বিশ্ব অর্থনীতিতেও মন্ত্র-তন্ত্র, তাত্ত্বিক-সাত্ত্বিক সবারই সঙ্গিন অবস্থা। এনবিআর সবারই জানা কারণে আমার আসার আগে থেকেই অনেকের কাছে কথিত ভয়-ভীতিপ্রদ পথচলায় পা পিছলানোর মতো অবস্থায়। দ্রুত পাল্টাচ্ছিল দৃশ্যপট। আর যে কাজের কাজি এই প্রাজ্ঞ প্রতিষ্ঠানÑ এ কর্মকা-েও যোগ হচ্ছিল নতুন মাত্রা, যাত্রা ও যৌক্তিকতা।
গ্রীষ্মে ওষ্ঠাগত আর বর্ষায় নাকাল হয়ে শরতে শান্ত সমাহিত হওয়ার প্রত্যাশিত প্রহরের প্রান্তে হেমন্তের এক দুপুরে যখন ‘রাজস্ব ভবন’-এ পা দিই, তখন মিডিয়া আমায় ঘিরে ধরে। এ ধরনের অনেক নতুন অভিজ্ঞতা, অবয়ব আর জাতীয় অর্থনীতিকে নিজের পায়ে দাঁড়ানো বা স্বনির্ভরতার স্বপ্ন দেখতে এবং দেখানোয় সম্মোহিতের মতো মেধা ও মনন, পেশাদারিত্ব এবং দেশিক দায়িত্ববোধের তাড়নায় আমার সৃজনশীল সারথি সময় উৎসাহ-উদ্দীপনায় পার হতে থাকে। দেশ এবং জাতির জন্য খুবই গণগুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানের কর্মপদ্ধতি, পরিকল্পনা ও প্রযোজনার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি এবং তারই আলোকে দেশ ও অর্থনীতির স্বয়ম্ভরতা অর্জনের পথে এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা কীভাবে আরও কার্যকর করে তোলা যায়, সেটিই ছিল আমাদের সবর ধ্যান-জ্ঞান।