গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। ঘামের সঙ্গে শরীরের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। আর ঘাম হলে শরীরের অতিরিক্ত পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরের তাপমাত্রা নেমে যায়।
তবে অনেকেই অতিরিক্ত ঘামের সমস্যায় ভোগেন। এটি বিভিন্ন রোগের লক্ষণও হতে পারে। আবার অনেকের মুখ ও শরীরের তুলনায় হাতের তালু ও পায়ের পাতায় ঘাম বেশি হয়। একে হাইপার হাইড্রোসিস বলে।
স্বাভাবিক মাত্রায় ঘাম সবারই হয়। ঘাম শরীরের অত্যাবশ্যকীয় একটি প্রক্রিয়া। বরং ঘাম না হওয়াও কখনো বড় ধরনের অসুস্থতার লক্ষণ।
তাই অতিরিক্ত ঘামও যেমন শারীরিক কিছু রোগের লক্ষণ আবার না ঘামলেও শরীরে থাকতে পারে নানা অসুখ। আর গরম ছাড়াই যদি আপনি ঘামেন তাহলেও তা কিন্তু বড়সড় রোগের লক্ষণ।
জানলে অবাক হবেন, ডায়াবেটিস হঠাৎ কমে গেলেও প্রচণ্ড ঘাম হতে পারে রোগীর। এ সময় শরীরে অস্বস্তিভাবের সৃষ্টি হয়। আসলে রক্তে শর্কারার পরিমাণ অত্যধিক কমে যাওয়ার কারণে এমনটি ঘটে।
ভেরি ওয়েল হেলথ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, রক্তে শর্করার ভারসাম্য না থাকলে অতিরিক্ত ঘাম হয়। যদিও প্রতিটি মানুষ ঘামেন, তবে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির কারণে পা বা উরুতে বেশি ঘাম হয়।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রায় ৮৪ শতাংশ মানুষ অতিরিক্ত ঘামেন। বিশেষ করে ঘাড়ের নিচে। এর প্রধান কারণ হলো রক্তে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ কমে যাওয়া।
অতিরিক্ত ঘামলে দ্রুত যা করবেন
>> ঘামের সঙ্গে যেহেতু সোডিয়াম, পটাশিয়াম, বাইকার্বোনেট বেরিয়ে শরীর দুর্বল ও অস্থির হয়ে যায় তাই পানির সঙ্গে লবণ ও লেবু মিশিয়ে শরবত খেলে স্বস্তি মিলবে।
>> গরমে দইয়ের ঘোল ও ডাব খেতে পারেন।
>> কোল্ড ড্রিংকসের পরিবর্তে টাটকা ফলের রস খান।
>> ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে যেহেতু হাইপার হাইড্রোসিস হয়, তাই বি-কমপ্লেক্স যুক্ত খাবার খান।
>> একবার রক্ত পরীক্ষা করে দেখে নিন, থাইরয়েড হয়েছে কি না। এক্ষেত্রেও ঘাম হতে পারে।