ব্রেস্টের মাঠে খেলতে গিয়ে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছিলো পিএসজির। ১-১ গোলে সমতায় শেষ হতে যাচ্ছিলো ম্যাচ। এমন সময়ই ত্রাণকর্তা হিসেবে সামনে এসে হাজির হলেন দুই বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি এবং কিলিয়ান এমবাপে। মেসির অ্যাসিস্টে ফিনিশিং টানলেন এমবাপে। শেষ মুহূর্তের সেই গোলে অবশেষে কোনোমতে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়লো প্যারিসের জায়ান্টরা।
ঘরের মাঠে ব্রেস্টের চেষ্টা ছিল, পিএসজির মত দলের বিপক্ষে যে কোনোভাবেই হোক একটি পয়েন্ট অর্জন করা। যে কারণে দেখা গেলো মেসি, এমবাপেরা যতই বল নিয়ে এগিয়ে আসুক, ততই তারা অফসাইডের মুখোমুখি হয়ে যাচ্ছেন।
শেষ মুহূর্তে ব্রেস্টের অফসাইড ট্র্যাপ ফাঁকি দিয়ে মেসির থ্রো বল সংগ্রহ করে কিলিয়ান এমবাপে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক মার্কো বিজল্টকে ফাঁকি দিয়ে ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে দেন।
এর ৫ মিনিট আগেই লাল কার্ড দেখতে পারতেন এমবাপে। ব্রেস্টের ফুটবলার হ্যারিস বেলকেবলাকে কিক দিয়েছিলেন তিনি। এ অপরাধে রেফারি শুধু হলুদ কার্ড দেখিয়েই ক্ষান্ত হন। লাল কার্ড দেখালেও এখানে বলার কিছু ছিল না। এমবাপে এ যাত্রায় বেঁচে গিয়েই শেষ মুহূর্তে গোলটি করে বসলেন।
ম্যাচ শেষে ব্রেস্ট মিডফিল্ডার পিয়েরে লেস মেলু বলেন, ‘আমরা বলবো না যে, এ কারণে (এমবাপেকে লাল কার্ড না দেখানো) হেরে গেছি। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হলো, কেন মাঠে এমন গুরুতর অপরাধ করা সত্ত্বেও সব খেলোয়াড় একই ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হবে না (অন্য কেউ হলে তো লাল কার্ড দেখানো হতো। এমবাপে বলে বেঁচে গেছেন)?'
তিনি আরো বলেন, ‘আমি রেফারির কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলাম। তখন রেফারি আমাকে বলেছেন, এটা ছিল একটা মৃদু সংঘর্ষ বা কিক। আমার প্রশ্ন হলো, তাহলে সত্যিকারের কিক বলতে কোনটাকে বোঝায়?’