কিডনির সুস্থতায় করণীয়

সমকাল নাসির উদ্দিন আহমদ প্রকাশিত: ০৯ মার্চ ২০২৩, ০১:৩১

মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার পৃথিবীজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব কিডনি দিবস। কিডনি রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দিবসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বে ৮৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। এই সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।


কিডনি রোগ থেকে মুক্ত থাকতে হলে আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। নিম্নোক্ত বিষয়গুলোয় খেয়াল রাখলে আমরা কিডনি রোগ থেকে সহজেই নিজেদের রক্ষা করতে পারব।


অতিরিক্ত ওষুধ কিডনির জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ওষুধ, বিশেষত ব্যথানাশক ওষুধ থেকে দূরে থাকতে হবে। বেশিরভাগ ওষুধ কিডনি দিয়ে পরিশ্রুত হয়। এগুলো কিডনির ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। সুতরাং যখনই সম্ভব আপনার ওষুধের তালিকা ছোট করে ফেলুন। সামান্য ব্যথা-বেদনায় ব্যথানাশক ওষুধ সেবনের বাতিক থেকে বেরিয়ে আসুন।


ডায়াবেটিসকে বলা হয় কিডনির শত্রু। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস কিডনির জন্য মহাবিপর্যয় সৃষ্টি করে। দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস কিডনি  ফেইলোরের অন্যতম কারণ। সে কারণে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। পানি পান করতে হবে পরিমাণমতো। শরীরে যাতে পানিশূন্যতা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ কিডনির মাধ্যমে নিষ্কাশিত হয়। সে কারণে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া যাঁরা অতিরিক্ত গরমের মধ্যে কাজ করেন; যাঁদের ঘাম নিঃসরণ বেশি হয়, তাঁদের সে অনুযায়ী পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। কিডনির সুস্থতার জন্য পানি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।


ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে কিডনি ভালো থাকে– এমনটা চিকিৎসকরা বলে থাকেন। ওজন বাড়লে তা কিডনির ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করে। শরীরে অতিরিক্ত বর্জ্য জমতে থাকে। নিয়মিত শরীরচর্চা ও পরিমিত খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে ওজনকে আয়ত্তে রাখতে হবে।


ধূমপান, অ্যালকোহল কিডনি বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। এসব থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। এগুলো শরীরের মাঝে অনেক ধবনের রাসায়নিক বর্জ্য পদার্থ তৈরি করে, যা কিডনির ওপরে বাড়তি চাপ প্রয়োগ করে। কিডনিকে টেনে নেয় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।


উচ্চ রক্তচাপ কিডনির জন্য খুবই ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ কিডনির সমূহ বিপর্যয় ডেকে আনে। সে জন্য ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে অবশ্যই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।


স্বাস্থ্যকর খাবার ও শরীরচর্চায় মনোযোগী হতে হবে। যেসব খাদ্যে অতিরিক্ত সোডিয়াম রয়েছে, সেসব পরিহার করতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে শরীরের সব অঙ্গ সচল রাখতে হবে। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন শরীরচর্চা সুস্থতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।


মাঝেমধ্যে নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিতে হবে। নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে কোনো রোগের প্রাথমিক অবস্থা নিরূপণ করা সম্ভব। বছরে অন্তত একবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে স্বাস্থ্যের হালহকিকত জেনে নিন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us