পাকিস্তানের অর্থনীতি শ্রীলংকার মতো দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। তারা অনেকদিন আগে আইএমএফের কাছে ‘বেইলআউট ঋণ’ চাইলেও আইএমএফ এমন কঠোর শর্ত আরোপ করতে চাইছে যেগুলো পূরণের ক্ষমতা পাকিস্তানের বর্তমান শাসক জোটের নেই। এমনকি পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত বন্ধু চীন ও সৌদি আরবও এখন আর পাকিস্তানের ভার নিতে নারাজ।
চীনের ঋণে পাকিস্তান যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করেছে সেগুলোর বহুদিন আটকে থাকা কিস্তির পাওনা অর্থ পাকিস্তান পরিশোধ না করায় ওই কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে চীন। এ কারণে সারা পাকিস্তানে ভয়ানক লোডশেডিং চলছে। প্রায়ই গ্রিড ফেইলিয়রের শিকার হচ্ছে। পাকিস্তানি রুপিতে ডলারের মূল্য নাটকীয়ভাবে বেড়েছে, বর্তমানে ১ ডলার পেতে পাকিস্তানকে গুনতে হচ্ছে ২৭৭ রুপি।