বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার কমছে, এটা স্বস্তির খবর। অস্বস্তির খবর হলো এখনো আমরা লক্ষ্য থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। গর্ভধারণকালে, প্রসবের সময় এবং প্রসবের ৪২ দিনের মধ্যে মৃত্যু হলে তা মাতৃমৃত্যু হিসেবে চিহ্নিত। মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে কয়েকটি বিষয়কে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা; যার মধ্যে আছে রক্তপাত, উচ্চ রক্তচাপ, গর্ভধারণের সময় সংক্রমণ, অনিরাপদ গর্ভপাতের কারণে সৃষ্ট জটিলতা এবং এইচআইভি/এইডস ও ম্যালেরিয়ার মতো শারীরিক জটিলতা। ফলে মাতৃমৃত্যুর বিষয়টি দেখতে হবে সামগ্রিকভাবে নারীর স্বাস্থ্যসেবার অংশ হিসেবে।
‘মাতৃমৃত্যুর প্রবণতা: ২০০০ থেকে ২০২০ সাল’ শীর্ষক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএ, বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের যৌথ প্রতিবেদনে মাতৃমৃত্যুর যেসব তথ্য উঠে এসেছে, তা উদ্বেগজনকই বলতে হবে। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়: ২০ বছরে দেশে মাতৃমৃত্যু ৭২ শতাংশ কমেছে। এরপরও প্রতিদিন সন্তান জন্মদানজনিত জটিলতায় ১০ মায়ের মৃত্যু হচ্ছে।