অন্যের চোখ দিয়ে সমস্যা উপলব্ধি করা একটি গভীর সহানুভূতির কাজ। দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) লোকজনের অবস্থা জানতে রাতে ছদ্মবেশে বের হতেন। যতটা মনে পড়ে, এক রাতে একা ভ্রমণে বের হয়ে হজরত ওমর (রা.) দেখতে পেলেন একজন মা তার ক্ষুধার্ত শিশুদের সান্ত্বনা দেয়ার জন্য হাঁড়িতে পানি ফুটাচ্ছে। ক্ষুধার্ত শিশুগুলো অপেক্ষারত অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়ল। এ দৃশ্য দেখে হজরত ওমর (রা.) কিছু খাবার দিয়ে অসহায় মহিলাকে সাহায্য করলেন এবং এ রকম পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেটারও ব্যবস্থা করলেন।
হজরত ওমরের (রা.) এ রাতের ভ্রমণে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দর্শন করার অভ্যাস না থাকলে হয়তো অনেক শাসক অনুপ্রাণিত হতেন না। গজনির মুসলিম শাসক মাহমুদ, অটোমান সুলতান সুলেইমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট এবং সম্রাট বাবর তাদের প্রজাদের প্রয়োজনগুলো আরো ভালোভাবে উপলব্ধির জন্য ছদ্মবেশে ঘোরাঘুরি করতেন। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে তাদের ছদ্মবেশে সফরের উদ্দেশ্য ছিল জনগণকে বোঝানো যে নেতারা তাদের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন।