প্রতিদিনের যান্ত্রিক জীবন অনেক সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কিছুটা হলেও দূরত্ব তৈরি করে। এই দূরত্ব অনেকটাই কমাতে পারে একসঙ্গে কাজ, গল্প করা কিংবা পছন্দের গান শোনা। তাই নিজের জন্য কিছুটা সময় আলাদা করে রাখাটা যত গুরুত্বপূর্ণ, স্বামী-স্ত্রীর গুণগতভাবে সময় কাটানোও তত জরুরি। বাড়ির বাইরে গিয়ে সময় কাটানোর সুযোগ বা সময় পাওয়া দুষ্কর। নিজেদের ১ হাজার ৫০০ বা ২ হাজার বর্গফুটের বাড়িতেই কিছু জায়গা তৈরি করে নিতে পারেন, যেখানে একান্তে বসে কথা বলা যাবে। হতে পারে বাড়ির বারান্দা, খাবার জায়গা বা ছাদের বাগান। এতে একই বাড়িতে ভিন্ন ভিন্ন জায়গার কারণে সময় কাটানোর সময় একঘেয়েমিও লাগবে না।
শুধু আজকের দিনটাই নয়, যেকোনো দিনই বাড়িতে দুজনে মিলে করতে পারেন ক্যান্ডেল লাইট ডিনার, জানান স্থাপত্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠান মেটামরফিকের স্থপতি ফারাহ মৌমিতা। খাওয়ার সময় টেবিলে অপ্রয়োজনীয় কোনো জিনিস না রাখাই ভালো। টেবিলের মাঝখানে সতেজ ফুল রাখতে পারেন। যেহেতু ক্যান্ডেল লাইট ডিনার, তাই এক বা একাধিক মোমবাতি রাখতেই হবে, মোমবাতির স্ট্যান্ড ব্যবহার করুন। মেনুটায় দুজনের পছন্দই প্রাধান্য পাবে। বাড়িতে ওপেন কিচেনের ব্যবস্থা থাকলে সেখানেও আলাদাভাবে বসার জায়গা তৈরি করতে পারেন। ওখানেও বসতে পারে চা বা কফির আড্ডা। বারান্দার সামনে বা বারান্দায় ঝুলিয়ে দিতে পারেন কাঠের পাটাতনের দোলনা। বারান্দায় হালকা আলো ঝুলিয়ে দিন। মেঝেতে মোটা গালিচা বা শতরঞ্জি পেতে দিন। ছড়ানো থাক নরম কুশন। সঙ্গে বই আর পছন্দের গান।
শোবার ঘরের জানালার পাশে দুটি সোফা বা আরামকেদারা রেখে দিতে পারেন। দম্পতির দিন শুরুর চা বা কফিটা না হয় একসঙ্গে এখান থেকেই শুরু হোক। অথবা এখানেই দিনের শেষের সময়টা দুজনে একান্তে কথা বলে পার করা যাবে। ইন্টারনেটের বাইরেও যে রঙিন পৃথিবী আছে, সেখানেও কিছুটা সময় পার করলে নিজেদের সম্পর্কে ফিরে পেতে পারেন নতুনত্ব। আলমারি থেকে বের করে আনুন বোর্ড গেম, জমে উঠুক লুডু, ক্যারম, দাবার আসর। বসার ঘরের এক কোণে অথবা বারান্দায় শতরঞ্জি আর বালিশ পেতে ব্যবস্থা করে নিতে পারেন। বাড়ির ছাদে ছোট টেবিলের দুই পাশে একটি বা দুটি বিন ব্যাগ রাখতে পারেন, যেন দুজনে বসে আরাম করে বই পড়তে পারেন। সঙ্গে থাকবে রঙিন কয়েকটি কুশন, আরাম করে পা রাখার জন্য যা ফ্লোরেও রাখতে পারেন। ব্যবস্থা করতে পারলে দোলনা অথবা রকিং চেয়ারও রাখতে পারেন।