স্মার্ট ভিলেজ ও গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন

সমকাল অজিত কুমার সরকার প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:৩৪

২০১১ সালে জার্মানির হ্যানোভার মেলায় 'ইন্ডাস্ট্রি ফোর ডট শূন্য'-এর আনুষ্ঠানিক উপস্থাপন করা হয়। এর ঠিক পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালের ২৮-২৯ জুন ওসাকায় অনুষ্ঠিত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে জাপান 'সোসাইটি ফাইভ ডট শূন্য' ধারণা উপস্থাপন করে। সেই জাপান সরকারের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার সহযোগিতায় বর্তমান সরকার 'স্মার্ট বাংলাদেশ :আইসিটি ২০৪১ মাস্টারপ্ল্যান' প্রণয়ন করছে। বোঝাই যায়, বর্তমান সরকারের নীতিনির্ধারকরা সুপার স্মার্ট সোসাইটির ধারণাকে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ মাস্টারপ্ল্যানের চার স্তম্ভে তাই স্থান পেয়েছে স্মার্ট সোসাইটি। অর্থাৎ ডিজিটাল সংস্কৃতি বিকাশের মাধ্যমে এমন একটি সমাজ গড়ে তোলা হচ্ছে। এ জন্য গ্রাম পর্যন্ত সুপরিকল্পিত প্রযুক্তিনির্ভর নতুন নতুন কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। সরকারের এসব কার্যক্রমের একটি হলো গ্রামগুলোকে 'স্মার্ট ডিজিটাল ভিলেজ'-এ রূপান্তর। এ পরিকল্পনা অনুসারে ২০৪১ সাল নাগাদ অন্তত ২০ হাজার গ্রামকে স্মার্ট ডিজিটাল ভিলেজে পরিণত করা হচ্ছে। এ নিবন্ধের আলোচনার বিষয় এই স্মার্ট ডিজিটাল ভিলেজ ঘিরে।


কেমন হবে এসব স্মার্ট ডিজিটাল ভিলেজ? এ পর্যন্ত যে ধারণা পেয়েছি তা অনেকটা এরূপ- গ্রামেই থাকছে ডিজিটাল বুথ, ডিজিটাল সেন্টার, ইন্টারনেট সংযোগ। এর সঙ্গে থাকছে স্মার্ট ডিভাইস আর কৃষিকাজের জন্য ড্রোনসহ অগ্রসর প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ। উন্নত দেশগুলোতে বড় ও মাঝারি আকারের খামারগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে প্রিসিসন (যাথার্থ্য) কৃষির অনুশীলন করছে, যা সেন্সর, ক্যামেরা, ড্রোন এবং অন্যান্য ডাটা ক্যাপচার পদ্ধতি ব্যবহার করে বাস্তব সময়ে মাটির আর্দ্রতা, তাপমাত্রা ও আলোর মতো ফসলের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করছে। সফটওয়্যার স্যুট তথ্য বিশ্নেষণ করে এবং স্মার্ট সরঞ্জাম সঠিক পরিমাণে সার বা পানি ব্যবহারের তথ্য ও পরামর্শ দেয়। উন্নত দেশের আদলে আলোচ্য প্রিসিসন কৃষির অনুশীলন সরকারের স্মার্ট ডিজিটাল ভিলেজের কার্যক্রমেরও অংশ।


'ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন' প্রকল্পের আওতায় স্মার্ট ডিজিটাল ভিলেজ কম্পোনেন্টকে ফেজ ১, ২, ৩- এ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর আওতায় ২০৪১ সালের মধ্যে ২০ লাখ কৃষককে প্রশিক্ষণ এবং ২০ লাখ ডিভাইস দেওয়া হচ্ছে। একই সময়ে সাড়ে তিন লাখ উদ্যোক্তাকে স্মার্ট ফার্মিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ফেজ ১-এর আওতায় ২০১৮ সালে সীমিত পরিসরে কৃষকদের কিছু ডিভাইস দিয়ে পাইলটিংও করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১০টি ডিজিটাল ভিলেজ সেন্টার (ডিভিসি) প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটির পাইলটিং শুরু হচ্ছে নাটোরের সিংড়া উপজেলার তেলিগ্রাম দিয়ে। এ ছাড়া নেদারল্যান্ডস সরকারের সহযোগিতায় আরও ৬০টি ডিভিসি স্থাপন করা হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us