দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ইতোমধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করে নির্বাচন কমিশনের দাখিল করেছে। একক প্রার্থী হিসেবে তার নির্বাচিত হওয়া এখন আনুষ্ঠিকতার ব্যাপার। আর শপথ গ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্বভার গ্রহণ কেবল সময়ের ব্যাপার। সব কিছু ঠিক থাকলে ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি একক প্রার্থী হিসেবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষে হলে ২৪ এপ্রিল তিনি দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতিশাসিত ও সংসদীয় উভয় পদ্ধতিতে পরিচালিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি মাঝেমধ্যে পরিবর্তিত হয়েছে। ১৯৭২ সালের সংবিধানের দ্বিতীয় তফসিল মোতাবেক রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতেন সংসদ সদস্যদের গোপন ভোটে। পরবর্তী সময়ে সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনী অনুসারে প্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান প্রবর্তিত হয়। পরে সংবিধানের (১২তম সংশোধনী) আইন ১৯৯১ অনুসারে সংসদীয় পদ্ধতি চালু হলে পরোক্ষ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান করা হয়। বর্তমানে অনুচ্ছেদ ৪৮ অনুসারে সংসদ-সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে দেশে এ পর্যন্ত ১১টি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে পরোক্ষ ভোটে ৮টি নির্বাচন হয় এবং প্রত্যক্ষ/সরাসরি ভোটে হয় তিনটি নির্বাচন। বাকি রাষ্ট্রপতিদের কেউ কেউ স্পিকারের পদে থেকে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করেন। কেউ কেউ সাময়িক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে নির্বাহী আদেশে রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হন। তফসিল ঘোষিত নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আনুষ্ঠিকতা শেষ হলে ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সংখ্যা দাঁড়াবে ১২টিতে।