রাঙামাটির কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে কাপ্তাই হ্রদের পানির অভাবে চারটি বন্ধ রয়েছে। একটি ইউনিট থেকে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এদিকে, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় গ্রীষ্ম মৌসুম শুরুর আগেই ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রাঙামাটিবাসী।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনসম্পন্ন পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে একটি ইউনিট মাত্র চালু রয়েছে। বাকি চারটি ইউনিট পানির অভাবে বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ২ নম্বর ইউনিট থেকে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। শনিবার হ্রদের রুলকার্ভ অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা ছিল ৮২ দশমিক ৪০ এমএসএল (মেইন সি লেভেল), যা বর্তমান মৌসুমে এর উচ্চতা থাকার কথা ছিল ৯৫.৬২ এমএসএল। প্রায় সাড়ে ১৩ ফুট উচ্চতা পানি কম রয়েছে। এ হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ এসএসএল এবং সর্বোচ্চ ৬৬ এমএসএল থেকে নিচে গেলে বিপদসীমা ধরা হয়।
জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে হ্রদের পানির স্তর কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। সাধারণত মার্চ অথবা এপ্রিল মাসের দিকে হ্রদের পানির স্তর কমে গেলেও বর্ষায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আবার হ্রদের পানির স্তর স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। কিন্তু বর্ষা মৌসুম আসতে না আসতে পানির স্তর আস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে হ্রদে পানি কমে যাওয়ায় জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে বরকল, বাঘাইছড়ি, জুড়াছড়ি, লংগদু ও বিলাইছড়ি উপজেলার সঙ্গে নৌ চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। এসব উপজেলায় যাত্রীবাহী লঞ্চ উপজেলা ঘাটে পৌঁছাতে পারছে না। ফলে এসব নৌরুটে যাত্রীদের যাতায়াতের দুর্ভোগের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সঠিক সময়ে পরিবহন করতে পারছে না।