বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে কি দুর্নীতি মেনে নিতে হবে?

ডেইলি স্টার আমীন আল রশীদ প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২৩:২১

দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)-এর দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ পিছিয়েছে। বৈশ্বিক গড় স্কোরের তুলনায় এবারও বাংলাদেশের স্কোর অনেক কম এবং গত এক দশকের মতো দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ দ্বিতীয়। বাংলাদেশের আগে আছে কেবল তালেবানশাসিত আফগানিস্তান। যদিও গত বছরের তুলনায় দেশটিতে দুর্নীতি কমেছে বলে টিআইয়ের গবেষণায় উঠে এসেছে।


গত ৩১ জানুয়ারি টিআইয়ের বাংলাদেশ শাখা অর্থাৎ টিআইবি বৈশ্বিক দুর্নীতির যে গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম, যেখানে গত বছর ছিল ত্রয়োদশ। এবার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৩১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে চতুর্থ। সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে আছে ডেনমার্ক। দ্বিতীয় ফিনল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড এবং তৃতীয় স্থানে আছে নরওয়ে। বৈশ্বিক সূচকে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ সোমালিয়া, দ্বিতীয় শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ যৌথভাবে দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়া এবং তৃতীয় লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা।


যদিও বাংলাদেশে দুর্নীতির চিত্র কেমন—সেটি বোঝার জন্য টিআইয়ের সূচকের দিকে তাকানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। কারণ দেশের প্রতিটি খাতে, বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে তাকালে এবং দুর্নীতি নিয়ে সাধারণ মানুষ এমনকি রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও যে ধারণা পোষণ করেন; যে ধরনের কথাবার্তা বলেন—সেদিকে খেয়াল করলেই বোঝা যায়।


জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে গত দুই দশকে 'অ্যাডাপটেশন' বা 'অভিযোজন' শব্দটি বেশ আলোচিত। অর্থাৎ মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে ভোগবাদের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বেড়ে যাওয়ায় প্রকৃতি যে অস্বভাবিক আচরণ করছে; প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে এবং তার ফলে বাংলাদেশের মতো সমুদ্র উপকূলীয় এবং দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলো যে ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন—সেই পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে লবণ ও খরাসহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন; নতুন নকশার ঘরবাড়ি তৈরি; উপকূলীয় এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহার করার উপযোগী করে নির্মাণ; প্রয়োজনীয় স্থানে টেকসই বেড়ি বাঁধ নির্মাণ; ম্যানগ্রোভ বন সৃষ্টিসহ নানাবিধ উদ্যোগ চোখে পড়ে। এগুলোকে এক কথায় বলা হচ্ছে অভিযোজন। অর্থাৎ যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনকে ঠেকানো যাচ্ছে না, অতএব তার সঙ্গে টিকে থাকার কৌশল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us