বিষয়টা তখনই আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। কাতার বিশ্বকাপে ঘানার বিপক্ষে রেফারির সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছিল উরুগুয়ে। যার শাস্তি হিসেবে চার খেলোয়াড়কে বিভিন্ন মেয়াদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা।তাদের মধ্যে ৪ ম্যাচের শাস্তি প্রাপ্ত খেলোয়াড় হলেন- ফার্নান্দো মুসালেরা, হোসে মারিয়া জিমিনেজ। ডিয়েগো গোদিন ও এদিনসন কাভানি আবার এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন।এসব ঘটনায় শুধু শাস্তির ঘোষণাই আসেনি।
ফুটবল সম্পর্কিত কমিউনিটি সার্ভিসে সময় দিতে হবে তাদের। পাশাপাশি জরিমানাও দিতে হবে ২০ হাজার সুইস ফ্রাঁ। বাড়তি হিসেবে উরুগুয়ের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে দিতে হবে আরও ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ। দর্শকদের আচরণও ঠিক মনে না হওয়ায় পরবর্তী একটি ‘এ’ ক্যাটাগরির আন্তর্জাতিক ম্যাচ বন্ধ স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে হবে।বিশ্বকাপের ওই ম্যাচটা ছিল ২ ডিসেম্বর। গ্রুপ ‘এইচ’ থেকে কারা শেষ ষেলোয়া যাবে সেটা তখনও মীমাংসা হয়নি। তাই বাঁচা-মরার ম্যাচে খেলতে নেমেছিল উরুগুয়ে-ঘানা। একই অবস্থা হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ারও। তাদের প্রতিপক্ষ ছিল পর্তুগাল। দুই গোল দিয়ে একটা সময় পর্যন্ত শেষ ষোলোয় এক পা দিয়ে রেখেছিল লুইস সুয়ারেজরা।
কিন্তু ৯১ মিনিটে দুই গোল করে কোরিয়ানরা ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যেতেই সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় তাদের। দক্ষিণ কোরিয়া ও উরুগুয়ে- দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ছিল। কিন্তু তিন ম্যাচ মিলিয়ে কোরিয়ানদের একটি গোল বেশি থাকার সুবাদে নক আউট পর্বের টিকিট কাটে তারা।ওই ম্যাচে রেফারির কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে নাখোশ ছিল দক্ষিণ আমেরিকান দলটি। জার্মান রেফারি দানিয়েল সেইবার্ট প্রথমার্ধে ও শেষ দিকে পেনাল্টি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় উরুগুয়ে। লুইস সুয়ারেজ তো সরাসরি ফিফাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।