সারা দেশে শীতের প্রকোপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বাড়ছে নানা ধরনের রোগ-বালাইও। শীতকালে আমরা যত ধরনের রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকি, তার মধ্যে ঠোঁট ফাটা অন্যতম। তবে এটি অতিস্বাভাবিক এবং সাধারণ একটি সমস্যা। ঠোঁটে এ ধরনের সমস্যা হওয়ার মূল কারণ আবহাওয়া। শীতের আবহাওয়া থাকে শুষ্ক। অর্থাৎ জলীয় বাষ্প থাকে আর্দ্র। আর এ কারণে ঠোঁটের ত্বকও ক্রমে শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে ঠোঁট ফাটা সমস্যা দেখা দেয়। আমরা আবার ঠোঁটের শুষ্কতা রোধ করতে বারবার জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে থাকি।
কিন্তু এতে ঠোঁট ফাটা বন্ধ তো হয়ই না, বরং আরও বেশি ফাটতে থাকে। আমাদের ত্বকে থাকা সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে একধরনের তৈলাক্ত (মেদ) বা মোমের মতো রস ক্ষরিত হয়। একে বলা হয় সিবাম। এটি ঘামের সঙ্গে মিশে ত্বকে ছড়িয়ে যায় এবং ত্বক মসৃণ ও আর্দ্র রাখে। ফলে সহজেই ত্বক ফাটতে পারে না। কিন্তু শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায়। আর এতে আমরা ঘামিও খুব কম। এ কারণে সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে বেরিয়ে আসা তেলতেলে পদার্থ শরীরের চামড়ায় ঠিকমতো ছড়িয়ে পড়তে পারে না। শরীরের শুকনো জায়গাগুলো তখন কুঁচকে গিয়ে ফেটে যেতে থাকে।